বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রয়াণ

  •    
  • ১৯ মে, ২০২২ ১৪:১৫

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক স্বদেশ রায় নিউজবাংলাকে জানান, লন্ডনের নর্থ উইক হাসপাতালে এক মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন গাফ্ফার চৌধুরী। তার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ডায়ালাইসিস কাজ করছিল না।

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা, লেখক ও সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আর নেই।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক স্বদেশ রায় নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি জানান, লন্ডনের নর্থ উইক হাসপাতালে এক মাসের বেশি সময় ধরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন গাফ্ফার চৌধুরী। তার দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ডায়ালাইসিস কাজ করছিল না।

স্বদেশ রায় আরও জানান, বুধবার গোসলের পর গাফ্ফার চৌধুরীর দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। সেটি আর নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আজ তার মৃত্যু হয়।

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আলাদা শোকবার্তায় তারা লেখক ও সাংবাদিকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

জীবনবৃত্তান্ত

মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। বরিশালের জলবেষ্টিত গ্রাম উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে তার জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর।

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী উলানিয়া জুনিয়র মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে।

১৯৫৩ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ সালে বিএ অনার্স পাস করেন। ১৯৪৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর তাকে চলে আসতে হয় বরিশাল শহরে। তিনি ভর্তি হন আসমত আলী খান ইনস্টিটিউটে।

সে সময় আর্থিক অনটনের শিকার হয়ে উপার্জনের পথ খুঁজতে থাকেন। ১৯৪৭ সালে তিনি কংগ্রেস নেতা দুর্গা মোহন সেন সম্পাদিত ‘কংগ্রেস হিতৈষী’ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন।

বরিশাল শহরে কিছুদিন মার্কসবাদী দল আরএসপির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবনেই তার সাহিত্যচর্চা শুরু হয়।

১৯৪৯ সালে ‘সওগাত’ পত্রিকায় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রথম গল্প ছাপা হয়।

১৯৫০ সালেই গাফ্ফা‌র চৌধুরীর কর্মজীবন পরিপূর্ণভাবে শুরু হয়। এ সময়ে তিনি ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

পরবর্তী সময়ে ‘সংবাদ’, ‘সওগাত’, ‘মেঘনা’, ‘চাবুক’, ‘আজাদ’, ‘জনপদ’, ‘বাংলার ডাক’, ‘সাপ্তাহিক জাগরণ’, ‘নতুন দেশ’, ‘পূর্বদেশ’সহ অনেক পত্রিকায় কাজ করেন।

প্রবাসে বসেও গাফ্ফার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান পত্রিকাগুলোতে নিয়মিত লিখেছেন।

গাফ্ফার চৌধুরীর বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘নাম না জানা ভোর’, ‘নীল যমুনা’, ‘শেষ রজনীর চাঁদ’, ‘কৃষ্ণপক্ষ’, ও ‘পলাশী থেকে ধানমণ্ডি’।

বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, ইউনেসকো পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, সংহতি আজীবন সম্মাননা পদক, স্বাধীনতা পদকসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।

এ বিভাগের আরো খবর