ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের শিশুপুত্র আল রাফসানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির মা দিলজান বেগম।
উপজেলার সাতরশি এলাকার সদরপুর পোস্ট অফিসসংলগ্ন বাড়িতে বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৯ বছরের রাফসান স্থানীয় একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এক ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাফসানকে কুপিয়েছে। তাকে বাঁচাতে এসে হামলার শিকার হয়েছেন তার মা। গুরুতর অবস্থায় তাদের সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক রাফসানকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওমর ফয়সাল নিউজবাংলাকে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই রাফসানের মৃত্যু হয়। দিলজান বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, হাসপাতালে দিলজান বেগমের অস্ত্রোপচার চলছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হতে পারে।
ঘটনার পর ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহিমা কাদের চৌধুরী। তিনি জানান, কেন, কী কারণে এ ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। শিশুটির মরদেহ সদরপুর থানায় রয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে সদরপুর ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
ঘটনার সময় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। তিনি ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা করেছেন। ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
সম্প্রতি বিয়েবিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি সালিশের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ হয় একটি পক্ষ। এর জেরে হামলা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।