টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পুলিশের এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও যৌতুক চাওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী।
মির্জাপুরের আগ ছাওয়ালী গ্রামের সোনিয়া আক্তার বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি জানান, স্বামী কবির হোসেন ঢাকার মিরপুর-১৪ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার আমন গ্রামে।
সংবাদ সম্মেলনে সোনিয়া জানান, ফেসবুকে পরিচয় ও প্রেমের জেরে গত ১৪ জানুয়ারি কবিরের সঙ্গে ঢাকায় তার বিয়ে হয়। সেখানে কবিরের সঙ্গে কিছুদিন সংসারও হয়।
তিনি বলেন, “বিয়ের পর থেকে কবির আমার উপর অত্যাচার চালাতেন; যৌতুক চাইতেন। এ পর্যন্ত আমার কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছেন। এখন কবির আমার সঙ্গেে কোনো প্রকার যোগাযোগ রাখছেন না। তিনি আমার বাবাকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘যদি সাত লাখ টাকা দিতে পারেন তাহলে আপনার মেয়েকে নিয়ে আমি সংসার করব।’
“কবিরের আগে বিয়ে হয়েছিল। সে কথা লুকিয়ে রেখে আমাকে বিয়ে করে। আমি কবিরের কঠিন বিচার চাই। কবিরের বিরুদ্ধে তার কর্মরত থানায় অভিযোগ দেব দ্রুতই।”
সোনিয়ার মা নাজমা বেগম এ সময় বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে কবির। তার কঠিন বিচার দাবী করছি।’
একই দাবি জানিয়ে সোনিয়ার বাবা সরোয়ার মিয়া বলেন, ‘পুলিশ মানুষের নিরাপত্তা দেয়। আর সেখানে কবির আমার মেয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কবিরের পুলিশে থাকা মানায় না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে পুলিশ কনস্টেবল কবির হোসেনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে ‘এই বিষয়ে এখন কথা বলতে পারব না’- বলেই কল কেটে দেন তিনি।