বগুড়ার শাজাহানপুরে উদ্ধার হওয়া মৃত শিশুর নাম সামিউল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে ওই উপজেলার সাজাপুর পূর্বপাড়া তালিমুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, গত সোমবার সামিউলের সৎবাবা ফজলু মাদ্রাসা থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সামিউলকে নিয়ে গিয়েছিলেন।
আট বছর বয়সী সামিউলের মায়ের নাম সালেহা বেগম। শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। মাদ্রাসার নথিতে সামিউলের বাবার নাম জাহাঙ্গীর।
মঙ্গলবার বিকেলে সামিউলের নাম পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রউফ।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মানিকদিপা উত্তরপাড়া বটতলা গ্রামের একটি লাউক্ষেত থেকে সামিউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পরে খোঁজখবরে বেরিয়ে আসে নাম-ঠিকানা।
সামিউলের মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুবেল মণ্ডল বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় ফজলু নামে সামিউলের সৎবাবা তাকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে যান। সামিউলকে নিয়ে তিনি ঘুরতে বের হয়েছিলেন। ফজলু মাঝে মধ্যেই মাদ্রাসায় এসে সামিউলের খোঁজখবর নিতেন। সামিউলই জানিয়েছিল লোকটি তার সৎবাবা।’
শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রউফ বলেন, ‘নিহত সামিউলের মা থানায় এসেছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে কাউকে এখনও আটক করা হয়নি। খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’
সকালে শাজাহানপুর থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছিলেন, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার সঙ্গে কী ঘটেছিল এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।