বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সালাম হত্যার বিচার চায় যুবজোট

  •    
  • ১৭ মে, ২০২২ ১৭:২৬

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলা যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবকে কুপিয়ে জখম করা হয়। রাত ১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহযোগী সংগঠন যুবজোট নেতা মাহাবুব খান সালাম হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

কুষ্টিয়া পৌর বিজয় উল্লাস চত্বরে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা যুবজোট আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানান তারা। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন নেতা-কর্মীরা।

কুষ্টিয়া জেলা যুবজোট সভাপতি মাহবুব হাসানের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন, কুষ্টিয়া জেলা জাসদ সভাপতি গোলাম মহসিনসহ অন্যান্যরা।

জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন বলেন, ‘যুবজোট নেতা সালামকে যারা হত্যা করেছে তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সবাই তাদের চেনে। পুলিশও তাদের চেনে। তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেন। সালাম ছিল সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ নেতা। সব সময় অপরাধের প্রতিবাদ করায় তাকে ভয় পেয়ে প্রতিপক্ষ মনে করে হত্যা করেছে।’

আব্দুল আলীম স্বপন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘একটি হত্যার সঠিক বিচার না পেলে ১০টি হত্যার জন্ম দেয়। আইনের প্রতি জাসদের নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা রয়েছে। আসামিদের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করে রক্ষার চেষ্টা করলে জাসদ তা মেনে নেবে না। যুবজোট নেতা সালাম হত্যার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করে গেছে জাসদ কোনও কাপুরুষের দল নয়।

এসময় বিচার না পেলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলা যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবকে কুপিয়ে জখম করা হয়। রাত ১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলাউদ্দিন খান ওরফে এনামুল হক শুক্রবার মামলা করেন। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের ২২ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার পর শুক্রবার অভিযান চালিয়ে উপজেলার আল্লারদর্গা ও সোনাইকুন্ডি থেকে সোহান, নজিবুল ও মেহেদী নামে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই দৌলতপুর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও হোগলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, দৌলতপুর যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান লোটন চৌধুরীসহ একই পরিবারের ৬ জন।

এ বিভাগের আরো খবর