সাভারের হেমায়েতপুর ট্যানারি শিল্প নগরী এলাকার একটি কারখানার ড্রামের ভেতর থেকে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের সহকর্মীরা মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে দাবি করলেও পুলিশ বলছে দুর্ঘটনা।
সোমবার দুপুরে হেমায়েতপুরের এলআইবি ট্রেডার্স ট্যানারি কারখানার ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ২৬ বছর বয়সী মো. বাপ্পী নোয়াখালী জেলার সদর থানার মাইলছদি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই ট্যানারি কারখানার শ্রমিক ছিলেন।
কারখানার শ্রমিক মো. সাকিব বলেন, সকালে ওই ট্যানারি কারখানায় চামড়া থেকে লোম তোলার ড্রামের ভেতরে কাজ করছিলেন বাপ্পী। পরে তার কোনো সাড়া না পাওয়ায় শ্রমিকরা দেখতে যান। তারা দেখেন ড্রামের ভেতরে পড়ে আছেন তিনি৷ পরে কারখানার কর্মকর্তারা মিলে মরদেহটি ড্রাম থেকে বের করেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাপ্পীকে ড্রামের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে ড্রামটি ঘোরানো হয়েছে। এর দায়িত্বে ছিলেন কোম্পানির কন্ট্রাক্টর মানিক। তিনি ঘটনার পরপর পালিয়ে গেছেন। আর মরদেহ ড্রামের ভেতর থেকে কোম্পানির লোকজন বের করে বাইরে রেখেছেন। বাপ্পীর মৃত্যু রহস্যজনক।’
কারখানার কন্ট্রাক্টর মো. মানিকের ফোনে বেশ কয়েকবার কল দেয়া হলেও তিনি কোনো কথা না বলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাসেল মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ড্রামের ভেতর পরিষ্কার করতে গিয়ে গ্যাসের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর আসল কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।’