কুমিল্লা নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ড ছোটরা। সেখানে অবস্থিত কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে যেতে হয় আদালত সড়ক হয়ে। এই সড়কের মাথায় পুলিশের একটি চেক পোস্ট। মোটরবাইক কিংবা গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ এখানে। পুলিশ কর্মকর্তা ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা নির্বাচন অফিসে আগত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের দেখে-শুনে ভেতরে যেতে দিচ্ছেন।
নির্বাচন অফিসের বাইরেও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের অবস্থান। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের উদ্দেশে বলছেন, দুজনের বেশি লোক যেন অফিসের ভেতরে প্রবেশ না করেন।
মাসখানেক পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে জেলা নির্বাচন অফিসজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা বেশ কয়েকটি ধাপে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। নির্বাচন অফিসের ভেতর ও বাইরে পুলিশের অবস্থান সেই ধাপের অংশ।’
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার পর্যন্ত মেয়র পদে পাঁচজন, ১৪৮ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নাবী চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। আমরা প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের নির্দেশনা দিচ্ছি তাদের কী করতে হবে এবং কী বর্জন করতে হবে।’
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ। মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ১৭ মে। এদিন পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা নেয়া হবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। ১৯ মে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে যাচাই-বাছাই হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ মে। প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৭ মে।
ভোটের আগে নির্বাচনী মালামাল বিতরণ করা হবে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে। নির্বাচনে ১০৫ কেন্দ্রে ৬৪০টি ভোটকক্ষ থাকবে। এই সিটিতে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।