বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুই কিলোমিটার সড়কে দুর্ভোগ অর্ধযুগের

  •    
  • ১৫ মে, ২০২২ ১৯:১১

ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শিগগিরই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে। ঠিকাদার সড়কের ড্রেনের জন্য পাইপলাইন নির্মাণ করছে। আশা করি, চলতি মাসের ২০-২৫ তারিখের মধ্যে প্রথমে ড্রেনের কাজ শুরু হবে।’

দৈর্ঘ্য মাত্র দুই কিলোমিটার হলেও গুরুত্বপূর্ণ সাভারের আশুলিয়ার ভাদাইল-ইপিজেড সড়ক। কিন্তু বছরের বেশির ভাগ সময় পয়োনিষ্কাশন আর বৃষ্টির পানি সড়কটিতে হাঁটুপানি জমে থাকে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণের পর প্রায় অর্ধযুগ ধরে সড়কটি বেহাল। খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের। বর্ষাকালে এ দুর্ভোগ বেড়ে দ্বিগুণ হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ সড়কের পাশেই অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) কয়েক লাখ শ্রমিকের এ সড়ক দিয়েই চলাচল। স্থানীয়দেরও চলাচলের একমাত্র পথ এটি।

অথচ বেহালের কারণে সকালে অফিস সময়ে কয়েক লাখ গার্মেন্টস শ্রমিকের ভিড়ে সড়কে দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়। তাই রাবিশ আর ভাঙা ইটের টুকরো ফেলে বারবার সংস্কারের চেষ্টা করা হলেও তা মূলত কোনো কাজেই আসছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হাঁটুপানি জমেছে। এ অবস্থায় ৫ টাকার ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। এতে আপত্তি তুলে অনেকে হেঁটেই যাচ্ছেন কারখানায়।

আবার সড়কে খানাখন্দে আটকে অটোরিকশা উল্টে যাওয়ার আতঙ্কেও অনেকে হেঁটে যাচ্ছেন। বেশি ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে পোশাক শ্রমিক ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ সড়কে জ্যাম নিত্যদিনের। বৃষ্টি হলে এটি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিশেষ করে ভোরবেলা গার্মেন্টসে কাজ শুরুর সময় সড়কটিতে ভোগান্তি বাড়ে কয়েক গুণ। কয়েক লাখ শ্রমিক একসঙ্গে সড়কে বের হওয়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে সড়কটি নির্মাণ করায় প্রায় পাঁচ-ছয় বছর ধরেই এ ভোগান্তি চলছে বলেও জানান তারা।

ডিইপিজেডের অ্যাকটর গার্মেন্টের শ্রমিক হারুন অর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সড়কটিতে পানি জমে, তবে বের হওয়ার পথ নেই। তাই অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে। অটোরিকশা অনেক সময় যাত্রী নিয়ে উল্টে যায়।

জটের কারণে ভোরে সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। উপায় না দেখে প্যান্ট গুটিয়ে পানি মাড়িয়ে যেতে হয়।’

অটোরিকশাচালক মো. রায়হান বলেন, ‘একটু পানি হলেও সড়কটি ডুবে যায়। তখন প্রতিদিন কমপক্ষে ছয়-সাতটি গাড়ি উল্টে পাতি ভেঙে যায়। এক সেট পাতির দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা। আর ভাড়া জনপ্রতি মাত্র ৫ টাকা।

‘পানির ভেতর ১০ টাকা ভাড়া চাইলে যাত্রীর সঙ্গে লাগে মারামারি। দিন ১ হাজার টাকা আয় করলে গাড়ি মেরামত করতে ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়। অনেক সময় গাড়ি উল্টে যাত্রীর হাত-পা ভেঙে যায়।’

স্থানীয় একজন বলেন, ‘সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। আর হাঁটুপানি তো আছেই। পাশের বাড়ির টয়লেটের পানি আসে সড়কের ওপর। ওই পানি মাড়িয়ে গেলে পা চুলকায়। শিক্ষার্থীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। পাঁচ-ছয় বছর আগে ড্রেন ছাড়াই সড়কটি পিচঢালাই করা হয়েছিল। এর পর থেকে সড়কে আর কোনো উন্নতি নেই।’

ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই সড়কের অবস্থা বেহাল শুনেছি। শিগগিরই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে। ঠিকাদার সড়কের ড্রেনের জন্য পাইপলাইন নির্মাণ করছে।

‘আশা করি, চলতি মাসের ২০-২৫ তারিখের মধ্যে প্রথমে ড্রেনের কাজ শুরু হবে। পরে আরসিসি ঢালাই দেয়া হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে সড়কটির সংস্কার করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর