রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সে দোকানের জন্য জায়গা কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক ব্যবসায়ী।
রোববার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী মান্নান মিয়া।
চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ভাড়া নিয়েও কর্তৃপক্ষ থেকে জীবননাশের হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি।
আব্দুল মান্নান জানান, টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়ম অনুসারে ওই ভবনের ১০ তলায় দোকানের পজিশন কিনেছেন তিনি। তার বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আমাগো চুক্তিপত্র দিছে। আমরা আরও ১৪-১৫ বছর আগেই হেইডা কিন্যা নিছি। আমাদের জায়গা ভোগদখল কইরা আসতেছি, আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টরে জমিদারি ভাড়া দিছি, কারেন্ট বিল দিছি, সার্ভিস চার্জ দিছি, এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আমরা কোনো শর্ত ভঙ্গ করিনি।’
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের উপমহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গেই দোকানের পজিশনের যাবতীয় চুক্তিনামা হয়েছে বলে জানান মান্নান মিয়া।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘এই কর্মকর্তা আবার নতুন করে টাকা দাবি করছেন। কিন্তু আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনিও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘এখন ১৪-১৫ বছর পরে নতুন কইরা জানতে পারলাম, আগের এগ্রিমেন্ট বাদ দিয়া নতুন এগ্রিমেন্ট কইরা সরকারের কাছ থেকে কাজ পাইছে। তবে তারা যে কাজ পাইছে আমরা সার্কুলার পাইনি। মৌখিকভাবে শুনছি। এখন বিল্ডিং প্রশাসন বলে, এখন আমাগো নতুন কইরা কিনতে হবে পজিশন। আমরা আপনাগো এক সম্পত্তি কয়বার কিনি।’
তিনি পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান।
মান্নান বলেন, সর্বশেষ গত ১২ মে রাতে এই মহলটি আমাদের অগোচরে মার্কেটের দশম তলায় অবস্থিত আমার অফিস এবং ফ্যাক্টরির প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। পরে আনসারদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের উপমহাব্যবস্থাপক ও প্রতিষ্ঠানপ্রধান আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে তারা এই তালা লাগিয়েছেন।’
বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ও ডিএমপির মতিঝিল জোনের ডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু কোনো সুরহা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘এখন আমি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “বর্তমানে মার্কেটের কেয়ারটেকার শাহজাহান নাম না জানা কয়েকজন লোক নিয়ে আমাকে এই বলে হুমকি দেয়, ‘রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে খুন ও গুম করে ফেলব, লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না ও অফিস ভেঙে নিজেদের করে নেব। এই ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করলে তোকে মেরে ফেলা হবে।’ এ ব্যাপারে জীবনের নিরাপত্তায় এই শাহজাহানের বিরুদ্ধে গত ৯ মে পল্টন থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের উপমহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউজবাংলা। তবে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।