বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘প্রধান শিক্ষকের’ বৈদ্যুতিক ফাঁদে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

  •    
  • ১৫ মে, ২০২২ ০০:০৩

ঘটনার পর থেকেই ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বাকি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

স্কুলের মাঠে খেলাধুলা করতে নিষেধ করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু নিষেধ অমান্য করেই সেই মাঠে খেলতে যেত একদল শিশু-কিশোর। এ অবস্থায় স্কুল মাঠ ও ভবনের চারপাশে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ফাঁদ তৈরি করেন সেই শিক্ষক। পরে মাঠে খেলতে গিয়ে পেতে রাখা ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই স্কুলেরই এক শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া এলাকার কালপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম নীরব ইসলাম। বোনারপাড়া এলাকার ভ্যানচালক জহুরুল ইসলামের ছেলে সে। ওই বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো।

প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশীরা জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বাকি কিছুদিন ধরে স্কুল মাঠে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ করে দেন। কিন্তু তারপরও স্থানীয় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে আসছিল।

পরে প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে স্কুলের দপ্তরি মো. নিলু মিয়া ভবন ও মাঠের চারপাশে বিদ্যুতের তার দিয়ে রাখেন। বিকেলে মাঠে খেলাধুলা করার সময় সেই তারে জড়িয়ে নীরব বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় এবং ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।

এ বিষয়ে দপ্তরি নিলু মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘চারটার পর স্কুল বন্ধ করে আমি বাড়িতে গেছি। এরপর কী হয়েছে জানি না।’

এদিকে ঘটনার পর থেকেই ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বাকি বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে। বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ফোন খুললেও কল রিসিভ করেননি তিনি।

এ বিষয়ে বোনারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আফতাব আলী সরকার বলেন, ‘শিক্ষকের এমন কাণ্ড মেনে নেয়া যায় না। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছিরুল আলম স্বপন বলেন, ‘শুনেছি প্রধান শিক্ষক মাঠের চারপাশে তার দিয়ে রেখেছিলেন। আমি ঘটনাস্থলেই যাচ্ছি।’

ঘটনাস্থলে থাকা সাঘাটা থানার এসআই আলাউদ্দিন বলেন, ‘লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করাসহ তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। নীরবের মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনদের কোনো অভিযোগ নেই। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ দাফনের বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর