ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ফলের বাগান থেকে আনসারী বেগম পারুল নামে ৭০ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা স্বজনদের। এ ক্ষেত্রে সন্দেহ করা হচ্ছে তার দুই ছেলেকে।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া গ্রাম থেকে পারুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির পাশে আম-কাঁঠালের বাগানে পড়ে ছিল তার রক্তাক্ত মরদেহ।
মরদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পারুলের স্বামী আফতাব উদ্দীন হত্যা মামলা করেছেন বলে নিউজবাংলাকে জানান হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম। আসামি করা হয়েছে দুই ছেলেসহ ৮ জনকে।
ওসি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী হত্যা মামলা করেছেন। তাতে দুই সন্তানসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ আছে। এজাহারভুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মামলায় বলা হয়, আফতাব উদ্দীন কিছুদিন আগে দুই ছেলেকে ১৭ লাখ টাকা দিয়ে একটি এস্কাভেটর (ভেকু) কিনে দেন। শর্ত অনুযায়ী টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছিলেন দুই ছেলে। অন্য সন্তানরাও বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন। এ অবস্থায় অন্য দুই ছেলেকে দুই বিঘা জমি লিখে দিতে বাধ্য হন আফতাব।
জমি ও আর্থিক লেনদেনের বিষয় নিয়ে শুক্রবার রাতে পারুলের সঙ্গে ঝগড়া হয় সন্তানদের। এরপর রাতের খাওয়া শেষে সবাই যার যার ঘরে ঘুমাতে চলে যান। ভোরে ফলের বাগানে আফতাব দেখতে পান স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ।
ঝগড়ার জেরে দুই ছেলে অন্যদের সহযোগিতায় মাকে হত্যার পর মরদেহ আম-লিচুর বাগানে ফেলে রাখে বলে ধারণা আফতাবের। সে কথা তিনি পুলিশকে জানান। পরে মামলা করেন।