কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহযোগী সংগঠন যুবজোট নেতা মাহাবুব খান সালামকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার পর অভিযান চালিয়ে উপজেলার আল্লারদর্গা ও সোনাইকুন্ডি থেকে শুক্রবার আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সোহান, নজিবুল ও মেহেদী।
নিহত মাহবুব খান সালাম দৌলতপুর উপজেলা যুবজোটের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ওসি জানান, এ হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা আলাউদ্দিন খান ওরফে এনামুল হক শুক্রবার মামলা করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের ২২ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই দৌলতপুর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও হোগলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী, দৌলতপুর যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান লোটন চৌধুরীসহ একই পরিবারের ৬ জন।
উপজেলার আল্লারদর্গা বাজারে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মাহবুবকে কুপিয়ে জখম করা হয়। রাত ১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
জাবীদ জানান, ওই রাতে বাজার থেকে চা পান করে বাড়ি ফিরছিলেন সালাম। এ সময় ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
ওসি বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিনজন মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামি। বাকি আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর চরদিয়াড় গ্রামের কথিত তাছের পিরের দরবার শরিফের ভক্ত রাশেদ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন মাহবুব।