বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৌতম ঘোষের ক্যামেরায় কথা বলবেন শেখ হাসিনা

  •    
  • ১৩ মে, ২০২২ ১৮:৩৬

গৌতম ঘোষ জানান, তার তথ্যচিত্রটির নাম ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’। এতে বঙ্গবন্ধুর কলকাতা জীবনের কথা তুলে ধরা হবে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেছেন উপমহাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখনীকে উপজীব্য করে এটি তৈরি হচ্ছে। এতে গৌতম ঘোষের ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনক্লস সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গৌতম ঘোষ। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।

গৌতম ঘোষ জানান, তার তথ্যচিত্রটির নাম ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’। এতে বঙ্গবন্ধুর কলকাতা জীবনের কথা তুলে ধরা হবে।

তিনি বলেন, ‘এ রকম একটি দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে, যা খুবই কঠিন। আমরা জানি, বঙ্গবন্ধুর জীবনে কলকাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তার রাজনৈতিক জীবনে অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে কলকাতা। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বই থেকে এই তথ্যচিত্রের স্ক্রিপ্ট করা হয়েছে।’

গৌতম ঘোষ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কলকাতায় থাকার সময় তিনি “বঙ্গবন্ধু” ছিলেন না। তিনি ছিলেন সাধারণ একজন ছাত্র। এরপর চিকিৎসার জন্য গেছেন। নানা সময় গেছেন। তাই তার সে সময়ের ছবি ও ভিডিও পাওয়া কঠিন। পাওয়া যাচ্ছে না। তবু তার সময়কে আমি ধরার চেষ্টা করছি।

‘আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এই সিনেমার জন্য ক্যামেরার সামনে কথা বলতে সানন্দে রাজি হয়েছেন। এটা বড় পাওয়া।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনী বা তার কার্যক্রম এত বিশাল যে তার সাহস ও স্বপ্ন তুলে ধরা কঠিন। তবে কিছু মানুষ এখনও আছেন, যারা এখনও বেঁচে আছেন। তারা ক্যামেরার সামনে এসেছেন।

‘বঙ্গবন্ধুর ওপর কাজ করতে গিয়ে একটা তথ্যভান্ডারে ঢুকে গেছি। এ থেকে ভবিষ্যতে অনেক কিছু করা সম্ভব।’

কাজটি করতে কেমন লাগছে– এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু’ তথ্যচিত্রটি নির্মাণের সময় একটি আবেগ কাজ করেছে। যখন আমি ক্যামেরা চালিয়েছি, তখন মনে হয়েছে কলকাতায় বঙ্গবন্ধু ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘কলকাতায় বঙ্গবন্ধু নির্মাণে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও শেখ হাসিনার লেখা বই সবচেয়ে অথেনটিক হিসেবে মনে করি। এ তথ্যচিত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কথা চিত্রায়িত করতে দিতে সম্মত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনের ব্যাপ্তি এত বড় যে কলকাতার পর্বটি দেখলেই বোঝা যাবে তার সাহসিকতা।’

এ সময় উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘এ ধরনের ছবি স্বাধীনতার পর তৈরি করলে ভালো হতো। ১৯৭৫ সালে এক অন্ধকার নেমে আসার কারণে এ বিষয়ে এগোনো যায়নি। ’৭৫ সালে যে ঘটনা ঘটল, তারপর তো আমরা নিজেদের ঘর সামলাতেই ব্যস্ত ছিলাম। তখন বঙ্গবন্ধুর নাম নিলেই বিপদ ছিল।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘কলকাতার পর্বটি বাদ দিলে বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে জানা অপূর্ণ থেকে যায়।

‘কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজে (তৎকালীন ইসলামিয়া কলেজ) পড়া, বেকার হোস্টেলে থাকা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যায়ের ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রাত কাটানো, পার্ক সার্কাসে ঘুরে বেড়ানো, ব্রিগেডের ময়দানে তার আগুন ঝরানো ভাষণ– এমন আরও অনেক কিছু বঙ্গবন্ধুর প্রিয় এই শহরের অলিগলি থেকে তুলে এনে ক্যামেরাবন্দি করছেন গৌতম ঘোষ। বঙ্গবন্ধুর জীবনে কলকাতা শহরের বড় ভূমিকা রয়েছে।’

তিনি জানান, কলকাতায় বঙ্গবন্ধু তথ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, কলকাতায় তার জীবন ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে। ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ (ভারত চ্যাপ্টার) ও বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে এটি। গত এপ্রিলের প্রথম দিকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত মৌলানা আজাদ কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে এর শুটিং শুরু করেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চলচ্চিত্র পরিচালক।

দীর্ঘ গবেষণায় তৈরি চিত্রনাট্যটির আলোকে তথ্যচিত্র নির্মাণের বিষয়ে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান, চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ এবং ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশের সহসভাপতি সত্যম রায় চৌধুরী।গত ১৯ মার্চ এই তথ্যচিত্র নির্মাণসংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে স্বাক্ষরিত হয়। প্রায় ৩০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি কলকাতা এবং বাংলাদেশে শুটিং শেষে আগামী জুনের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে ইসলামিয়া কলেজে অধ্যয়ন করেছেন এবং সে সময় তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি সে সময় সরকারি বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর রুমে আবাসিক ছাত্র ছিলেন, যেটি এখন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কক্ষ হিসেবে সংরক্ষিত আছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, মেজর (অব.) শামসুল আরেফিন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এ বিভাগের আরো খবর