প্রতিবেশী দেশ ভারতের অন্ধ্র উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ বাংলাদেশের ওপরে আর প্রভাব ফেলবে না। ইতোমধ্যে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে ঝড়টি। নতুন কোনো ঘূর্ণিঝড় না আসলে বিপদের আর কোনো শঙ্কা নেই, জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি শুক্রবার সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসানি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল ও গুরুত্বহীন হয়ে উঠছে। প্রথমে গভীর নিম্নচাপ এবং বৃহস্পতিবার নিম্নচাপে পরিণত হয়। শুক্রবার সকালে দুর্বল ঘূর্ণিঝড় অস্তিত্বহীন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে এই ঝড়ের কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে আগামী দুই দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি, ঝড় ও শিলাবৃষ্টি দেখা দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমার পাশাপাশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ের গতি-প্রকৃতি জানতে চাইলে এ কে এম নাজমুল হক বলেন, যদি মাঝারি ধরনের ঝড় হয় তাহলে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে। এর বেশি হলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার দেখা দিতে পারে। তবে বড় ঝড়ের সম্ভাবনা খুবই কম।
ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক দিন বৃষ্টি হচ্ছে। থেমে থেমে আবার কখনও টানা বৃষ্টির কারণে পানি জমতে শুরু করে নিম্নাঞ্চলের ফসলের জমিতে। এ অবস্থায় ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন কৃষক। মাদারীপুরে নিম্নাঞ্চলের আধাপাকা বোরো ধান কেটে নেন চাষিরা। তারা বলছেন, এতে তারা কাঙ্ক্ষিত ফলন পাবেন না।