খুলনার তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল মজুত রাখার দায়ে জরিমানা করা হয়েছে।
খুলনার বড় বাজারে র্যাব ও জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক।
তিনি জানান, অভিযানকালে সাহা ট্রেডার্সে ৩১ হাজার ৬০০ লিটার সয়াবিন ও ৬৩ হাজার ৩০০ লিটার পাম অয়েল তেল মজুত পাওয়া যায়। এর দায়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী দিলিপ কুমার সাহাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়া সোনালী এন্টারপ্রাইজে ২৬ হাজার ৭৮০ লিটার সয়াবিন ও ৩১ হাজার ৮০০ লিটার পাম অয়েল মজুত পাওয়া যায়। এর দায়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী প্রদীপ সাহাকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রণজিত বিশ্বাস অ্যান্ড সন্সে ৯ হাজার ৫৮০ লিটার সয়াবিন ও ৫৯ হাজার ৫৬০ লিটার তেল মজুত পাওয়া যায়। এর দায়ে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী অজিত বিশ্বাসকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তেলের দাম বাড়তে পারে- এমন আভাস পেয়ে ঈদের আগে তেল বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের পর বোতলজাত তেলের লিটার ৩৮ টাকা আর খোলা তেল ৪৪ টাকা বাড়ানোর পরও বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। পরে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বেরিয়ে আসে বেশি দামে বিক্রির জন্য তেল লুকিয়ে রাখার প্রমাণ।
প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলায় দেড় থেকে দুই লাখ লিটার লুকিয়ে রাখা তেল বের করে তা বিক্রির ব্যবস্থা করছে ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমাণ আদালত।