বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অ্যামনেস্টি-টিআইবি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১১ মে, ২০২২ ১৯:২২

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যাতে কারও চরিত্রহনন, গুজব রটানো কিংবা রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির স্বাধীনতা বা নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা না ঘটে, সে কারণে আপামর মানুষের জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইন কোনোভাবেই শুধু সাংবাদিকদের জন্য নয়।’

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিদের সংগঠন ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত মিট দ্য ওকাব অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাপ্রধান, নানা দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশ্বের গণমাধ্যম গত এক দশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেছে। অন্যদিকে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এমন একটি সংস্থা যারা ফিলিস্তিনি শিশুদের ঢিল ছোড়ার জবাবে ইসরায়েলি সেনাদের ব্রাশফায়ারে শিশু হত্যার প্রতিবাদ করে না, বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত শতাধিক মানুষকে পেট্রলবোমায় পুড়িয়ে হত্যা করলেও প্রতিবাদ করে না; আবার মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বলে। এ কারণে তারা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে আফগানিস্তানে সংবাদ উপস্থাপনের কারণে নারীদের হত্যা করা হয়, যে দেশে সাংবাদিকতার সুযোগই নেই, তাদের পেছনে বাংলাদেশের অবস্থান দেখিয়ে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস প্রমাণ করেছে যে তাদের মুক্ত গণমাধ্যম সূচক ও প্রতিবেদন বিদ্বেষপ্রসূত। একই সঙ্গে টিআইবি সব বিষয়ে বিবৃতি দিতে গিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের পার্থক্য হারিয়ে ফেলছে।

‘সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষা করা, গণমাধ্যমের অর্থবহ বিকাশ এবং সে সঙ্গে ভুয়া ও ভুঁইফোঁড় সাংবাদিক কিংবা পত্রপত্রিকার মাধ্যমে যাতে বৃহত্তর সাংবাদিক সমাজের বদনাম না হয় এবং সর্বোপরি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যম যেভাবে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে, এটি অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। যুক্তরাজ্যে কারও বিরুদ্ধে ভুল বা অসত্য রিপোর্ট হলে সেটির পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়, সংবাদমাধ্যমকে জরিমানা গুনতে হয়। সেখানে একজন এমপির বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে বিবিসির পুরো একটি টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।

‘তিন মাস আগেও একটি ভুল সংবাদ পরিবেশনের ঘটনায় বিবিসির অনেককে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা কন্টিনেন্টাল ইউরোপেও হয়। তবে আমাদের দেশে কখনও এমনটা ঘটেনি।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও অর্জনের কথা তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনমুক্ত সম্প্রচারসংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন, কেবল নেটওয়ার্কে দেশি টিভি চ্যানেলগুলো সবার আগে এবং তাদের সম্প্রচারের তারিখ অনুযায়ী পরপর তাদের অবস্থান নিশ্চিত করা, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কয়েক দফা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ ডিশ টিভি উচ্ছেদ করে বছরে দেশের এক হাজার কোটি টাকার বেশি পাচার ও লোকসান হওয়া রোধ, বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণে দেশি শিল্পী ও শিল্পের সুরক্ষায় বিদেশি শিল্পী ও বিদেশে চিত্রায়িত বিজ্ঞাপন প্রচারের ওপর কর আরোপ করা হয়েছে।

‘একই সঙ্গে বর্তমান বাস্তবতার নিরিখে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবস্থাপনায় নীতি প্রণয়ন, গণমাধ্যমকর্মী আইন ও সম্প্রচার আইনের খসড়া প্রণয়ন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতায় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে করোনায় গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য বিশ্বে নজিরবিহীন সহায়তা দান, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চলচ্চিত্রশিল্পকে বাঁচাতে প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ ও সংস্কারে এক হাজার কোটি টাকার সহজ ঋণ তহবিল গঠন, চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান বৃদ্ধি এবং সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরির জন্য প্রেস কাউন্সিলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাফর্মে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেলেধরার গুজবে দেশে বহু নিরীহ মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে, জীবিত ব্যক্তি মৃত বলে প্রচার হয়েছে, গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক শান্তি বিনষ্টের অপচেষ্টা হয়েছে।

‘এই মাধ্যমে যাতে কারও চরিত্রহনন, গুজব রটানো কিংবা রাষ্ট্র, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির স্বাধীনতা বা নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা না ঘটে, সে কারণে আপামর মানুষের জন্য এ আইন, কোনোভাবেই শুধু সাংবাদিকদের জন্য নয়।’

এ বিভাগের আরো খবর