প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বোরকা পরে ছাত্রীনিবাসে ঢোকার চেষ্টা যুবকের। গতিবিধি সন্দেহের মুখে জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়েন স্থানীয়দের হাতে। এরপর উত্তম-মধ্যম, পরে থানা ঘুরে পরিবারের জিম্মায়।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চকবাজার এলাকার একটি ছাত্রীনিবাসে।
মইনুল ইসলাম নামের ওই যুবকের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী ওই যুবকসহ প্রেমিকার অভিভাবক ডেকে তাদের জিম্মায় দেন।
তাজহাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান চৌধুরী নিউজবাংলাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার রাত ১০টার দিকে চকবাজার সালামের মোড় এলাকার একটি ছাত্রীনিবাসে বোরকা পরিহিত একজনকে ঢোকার সময়ে তার গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাকে জিজ্ঞাসার করলে পুরুষের কণ্ঠে কথা বলতে থাকেন। তখন তার বোরকা খুললে ছদ্মবেশ ধারণের বিষয়টি পরিষ্কার হয়। এসময় তাকে মারধর করেন স্থানীয়রা।
এসআই বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।’
তার ভাষ্য, ‘ছদ্মবেশ নিয়ে ওই ছাত্রীনিবাসে থাকা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি। আমরা ওই ছাত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। দুজনের কারো কোনো অভিযোগ ছিল না।’
তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল কাদের বলেন, ‘ওই দুই তরুণ-তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের কারো প্রতি কারো কোনো অভিযোগ ছিল না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক যুবককে তার পরিবারের জিম্মায় ও মেয়েটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের জিম্মায় দিয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়িতে যাই। ঘটনা শুনে যার যার অভিভাবকের জিম্মায় তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।’