ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। সোমবার সংগঠনের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় যুব মহিলা পার্টির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ইভিএমে। কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে, সেই আলোচনা ওই সভায় কতটা প্রাসঙ্গিক সে বিষয়ে মতভেদ আছে।
‘নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, তা নির্ধারণের দায়িত্ব মূলত নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচনে পদ্ধতিগত কোনো পরিবর্তন আনতে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নেবে এটাই স্বাভাবিক।’
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন হবে ইভিএমে- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
নিরক্ষরতার জন্য আমাদের দেশে এখনও প্রার্থীর নামের পাশে প্রতীক ব্যবহার করতে হয়। এমন বাস্তবতায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে।’
জি এম কাদের আরও বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবিধানকে এমনভাবে কাটাকাটি করেছে, তাতে গণতন্ত্র চর্চা সম্ভব নয়। দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র চলছে। ফলে সরকারের কোনো ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নেই বললেই চলে।’
জাতীয় যুব মহিলা পার্টির আহ্বায়ক নাজনীন সুলতানার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সৈয়দা জাকিয়া আফরোজ হিয়ার সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা ও অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।