বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জামিনে আসামিরা, হত্যার বিচার চান স্বজনরা

  •    
  • ৯ মে, ২০২২ ১৩:৫০

মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী রজব আলী বলেন, ‘জুয়েলকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একমাত্র হেলাল ছাড়া সবাই এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন। নিরীহ পরিবারটির সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। যেকোনো সময় এরা আবারও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। তবুও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে না।’

ময়মনসিংহের সদরে জুয়েল মিয়া হত্যায় জড়িতদের বিচার চেয়েছেন স্বজনরা।

উপজেলার ভাবখালী এলাকায় সোমবার দুপুরে হত্যার বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন পরিবারসহ এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী রজব আলী বলেন, ‘জুয়েলকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একমাত্র হেলাল ছাড়া সবাই এলাকায় ঘোরাফেরা করছে। নিরীহ পরিবারটির সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। যেকোনো সময় এরা আবারও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। তবুও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।’

হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সমাজসেবক মোহাম্মদ ছাপ্পু বলেন, ‘নিরীহ একটি পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তির জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়া হয়েছে। এলাকায় সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে এদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নয়তো এলাকাবাসী আরও ফুঁসে উঠবে।’

নিহতের ছোট ভাই রনি মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের ছোট দুটি ছেলে আছে। তার স্ত্রীর গর্ভে আরও একটি সন্তান। ভাই ডিসের ব্যবসা করে সংসার চালাতেন। এখন সন্তানদের তিন বেলা আহার জোগাবে কে? আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।’

গত ১ মে রাতে পূর্ববিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ডিস ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া সদর উপজেলার ইসমাইল মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ছোট ভাই রনি মিয়া কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে পূর্ববিরোধের জেরে স্থানীয় হেলালের নেতৃত্বে জুয়েলের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় চাপাতি দিয়ে জুয়েলের মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আরও তিনজনকে হামলা চালিয়ে আহত করা হয়।

একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জুয়েলের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

আসামি করা হয় মোহাম্মদ হেলাল, আক্তার হোসেন, সুলতান মিয়া, আতিকুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, এনামুল হক, রুহুল আমিন, বালাম, নজরুল ও আফাজসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও পাঁচজনকে। এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও দুই আসামি এখন জামিনে।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার পরদিনই অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি হেলালকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর আক্তার হোসেন ও সুলতান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হলেও বর্তমানে তারা জামিনে আছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর