বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবারও ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য বিক্রির চিন্তা

  •    
  • ৮ মে, ২০২২ ১১:৫৪

টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে কোরবানির ঈদের আগে আবারও কোটি মানুষের কাছে ভর্তুকি দামে পণ্য বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পণ্যের পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় এই কার্যক্রম শুরু করতে সময় লাগবে।

ভোজ্যতেলের দামে আগুন। পিছিয়ে নেই নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যও। জিনিসপত্রের দামের উত্তাপে নাকাল ক্রেতা-ভোক্তারা। বিষয়টি নিয়ে ভাবান্বিত সরকারও। সার্বিক দিক বিবেচনা করে কোরবানির ঈদের আগে স্বল্প আয়ের এক কোটি মানুষের কাছে ভর্তুকি দামে পণ্য বিক্রির চিন্তা করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি।

সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি। তবে টিসিবিকে এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

রমজানের ঈদের আগে দুই পর্যায়ে মোট এক কোটি মানুষকে ভর্তুকি দামে পণ্য দেয় সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি। নিম্ন আয়ের মানুষ আলাদা কার্ডের মাধ্যমে কম দামে পাঁচটি পণ্য কেনার সুযোগ পেয়েছেন।

টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে কোরবানির ঈদের আগে আর একবার ভর্তুকি দামে পণ্য বিক্রির সম্ভাবনা আছে।

‘এবারও এক কোটি মানুষকে স্বল্পমূল্যে পণ্য দেয়া হবে। তবে এই কার্যক্রম শুরু করতে সময় লাগবে। কারণ এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ পণ্য মজুত নেই।’

টিসিবির নিয়মিত বিক্রি কার্যক্রম কবে শুরু হবে সে বিষয়েও এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া।

রমজান সামনে রেখে দেশে প্রথমবারের মতো ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের উদ্যোগ নেয় টিসিবি। ফাইল ছবি

বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সমন্বয় করে বাড়ানো হয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা ভোজ্যতেলের দামও এবার বাড়ানো হবে কি না- এমন প্রশ্নে টিসিবির মুখপাত্র বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে মিটিংয়ে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

রমজান সামনে রেখে দেশে প্রথমবারের মতো ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের উদ্যোগ নেয় টিসিবি। এ কার্যক্রমের আওতায় রাজধানীসহ সারা দেশে একযোগে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য সরবরাহ করা হয়। উপকারভোগীরা বাজারের চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কম দামে টিসিবির ডিলার থেকে তেল, ছোলা, চিনি, খেজুর ও মসুর ডাল কিনতে পেরেছেন।

জানা যায়, বিশেষ এ কার্ডের জন্য এক কোটি পরিবারের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে প্রথম বিবেচনায় নেয়া হয়েছে করোনাকালীন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে নগদ সহায়তা প্রদানের ডাটাবেসকে। ওই তালিকায় ৩০ লাখ পরিবার অন্তর্ভুক্ত ছিল, যাদের সরাসরি টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় নেয়া হয়। এক কোটি পরিবারের বাকি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সুবিধাভোগী বাছাইয়ের বড় কাজটি করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন।

উপকারভোগী বাছাইয়ে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তিনস্তরের আলাদা কমিটি কাজ করে। গ্রামপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিয়ে গঠিত কমিটি প্রাথমিকভাবে উপকারভোগী বাছাইয়ের কাজটি করেছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি স্থানীয় নির্বাচন অফিস থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে সুপারিশকৃতদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করেছে। এরপর চূড়ান্ত বাছাই হয়েছে জেলা পর্যায়ে। এ তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে সারা দেশে স্থানীয় ৫৭ লাখ ১০ হাজার উপকারভোগী পরিবার।

এর বাইরে ঢাকা সিটি করপোরেশনে ১২ লাখ এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৯০ হাজার উপকারভোগী টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে কম দামে পণ্য কিনতে পেরেছেন।

২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রথম পর্বে এক কোটি উপকারভোগী পরিবারের মাঝে ১১০ টাকা লিটার দরে দুই লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি চিনি ও ৬৫ টাকা দরে দুই কেজি মসুর ডাল বিক্রি করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ৩ এপ্রিল থেকে এসব পণ্যের সঙ্গে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে দুই কেজি ছোলা বিক্রি করা হয়।

উল্লেখ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ বিভিন্ন ভোগ্য ও ব্যবহার্য পণ্যের দামের উল্লম্ফনে স্বল্প আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে টিসিবির নিয়মিত পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এর মাধ্যমে এক কোটি পরিবারকে এই সুবিধায় তালিকাভুক্ত করার নির্দেশনা দেন। এরপরই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সহায়তায় উপকারভোগী বাছাই করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর