বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডুবোচরে আটকে ২ লঞ্চ, নৌকায় বাড়ল ভাড়া

  •    
  • ৭ মে, ২০২২ ১৬:০১

রশিদ নামেে এক যাত্রী বলেন, ‘বাহাদুরাবাদ থেকে আসার সময় লঞ্চ দুটি আটকে যায় বালিতে। শুনেছি এই রুট খননের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার। যেখানে লঞ্চ চলাচল করতে পারছে না, সেখানে ফেরি চলবে কীভাবে।’

পরীক্ষামূলকভাবে গাইবান্ধার বালাসীঘাট থেকে জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত নৌরুটে লঞ্চ সার্ভিস চালুর প্রায় দুই মাসের মাথায় নাব্য সংকটে ডুবোচরে আটকে গেছে দুটি লঞ্চ। এতে ছোট নৌকায় বেশি ভাড়ায় চলাচল করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে শনিবার সকালে ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ব্রহ্মপুত্র নদে এমভি মোহাব্বত নামে একটি লঞ্চ ডুবোচরে আটকে যায়। পরে নৌকা ও স্পিডবোটে লঞ্চে আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘রিভারস্টার’ নামে আরেকটি লঞ্চ ডুবোচরে আটকে যায়। বর্তমানে এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, ‘নাব্য সংকটের কারণে প্রায়ই এই রুটে লঞ্চ বালিতে আটকে যায়। এবার এমনভাবে লঞ্চ দুটি ডুবোচরে আটকে গেছে যে ড্রেজিং ছাড়া কোনোভাবেই তা ছাড়ানো সম্ভব নয়। নিয়মিত ড্রেজিং ব্যবস্থা চালু থাকলে তবেই এ রুটে লঞ্চ চলাচল সম্ভব।’

ঈদযাত্রার মধ্যে লঞ্চ দুটি বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। তা ছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই রুটেই ছোট ছোট নৌকায় যাত্রা করছেন যাত্রীরা। এতে তাদের গুনতে হচ্ছে বেশি ভাড়াও।

রবিউল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘যানজট থেকে বাঁচতে ও সময় কমাতে লঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন পরিবার নিয়ে নৌকায় রওনা দিতে হচ্ছে।’

রশিদ নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘বাহাদুরাবাদ থেকে আসার সময় লঞ্চ দুটি গতকাল আটকে যায় বালিতে। শুনেছি এই রুট খননের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে সরকার। যেখানে লঞ্চ চলাচল করতে পারছে না, সেখানে ফেরি চলবে কীভাবে।’

বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমানো এবং উত্তরবঙ্গের আট জেলার সঙ্গে যাতায়াত সহজ করতে বালাসী-বাহাদুরাবাদ ঘাট নৌরুটে পরীক্ষামূলকভাবে গত ৮ মার্চ দুটি লঞ্চ সার্ভিসের উদ্ধোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এর আগে ২০১৭ সালের অক্টোবরে একনেকের এক সভায় বালাসীঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত নৌরুটটি আবারও চালু করে ফেরিঘাট নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রকল্পটির প্রথম ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। পরবর্তী সময়ে দুবার সংশোধন করে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ১৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা খরচ করে বাস টার্মিনাল, টোল আদায় বুথ, পুলিশ ব্যারাক, ফায়ার সার্ভিস, আনছার ব্যারাকসহ বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।

তবে বিআইডব্লিউটিএর কারিগরি কমিটি হঠাৎ করে নাব্যসংকট ও ২৬ কিলোমিটার বিশাল দূরত্বের নৌপথসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে নৌরুটটি চলাচলে অনুপযোগী বলে প্রতিবেদন দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর