বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিস্ফোরক সংকটে আবারও বন্ধ খনির পাথর উত্তোলন

  •    
  • ৭ মে, ২০২২ ১৩:০০

খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি মাসের শেষ দিকে বিস্ফোরক আসবে। এখন খনিতে যে প্রায় ৫০ হাজার টন পাথর মজুত আছে সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে।

বিস্ফোরক সংকটে আবারও বন্ধ হয়ে গেছে দেশের একমাত্র পাথর খনির পাথর উত্তোলন।

দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) গত ১ মে সকালে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়।

খনির একটি সূত্র জানায়, পাথর উত্তোলনের জন্য অ্যামালসন নামের এক ধরনের বিস্ফোরক প্রয়োজন হয়। চুক্তি অনুযায়ী খনি কর্তৃপক্ষ জিটিসিকে বিস্ফোরক সরবরাহ করবে। কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারত থেকে এই বিস্ফোরক আমদানি করা হয়। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিস্ফোরক আমদানিতে দেরি হচ্ছে।

নির্দিষ্ট সময়ে বিস্ফোরক সরবরাহ করতে না পারায় গত ১ মে জিটিসি উত্তোলন কাজ বন্ধ করে দেয়।

খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি মাসের শেষ দিকে বিস্ফোরক আসবে। এখন খনিতে যে প্রায় ৫০ হাজার টন পাথর মজুত আছে সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে।

খনির মহাব্যবস্থাপক মীর পিনাক ইকবাল বলেন, ‘চলতি মাসে খনিতে বিস্ফোরক চলে এলে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হবে।’

এর আগে চলতি বছরের ১২ মার্চ থেকে বিস্ফোরক সংকটে ১৪ দিন পাথর উত্তোলন বন্ধ ছিল। তার আগে একই কারণে ২০১৮ সালের জুনে সাত দিন, ২০১৫ সালে দুই মাস ও ২০১৪ সালে ২২ দিন পাথর উত্তোলন করা যায়নি।

২০০৭ সালের ২৫ মে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) দেশের একমাত্র পাথর খনি থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাথর উত্তোলন শুরু করে। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা জিটিসির সঙ্গে ছয় বছরের চুক্তি করে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আবার নতুন করে ছয় বছরের চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, জিটিসি প্রতিদিন গড়ে সাড়ে পাঁচ হাজার টন পাথর উত্তোলন করে।

এ বিভাগের আরো খবর