নিউ মার্কেটে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের দুই মামলায় ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে তিন দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মোশাররফ হোসেন শুক্রবার তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। পৃথক দু মামলার তিন আসামিকে এদিন একই আদালতে হাজির করা হয়।
আদালতে নিউ মার্কেটে সংঘর্ষ চলাকালে ডেলিভারিম্যান নাহিদ হত্যা মামলায় আসামি সিয়ামের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের ধানমন্ডি জোনাল টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) তারিকুল আলম জুয়েল।
আবেদনে বলা হয়, সিয়ামের রডের আঘাতেই নাহিদ মারা যান। সিয়ামকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি।
এ তথ্য নিশ্চিত করে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদুর রহমান জানান, সিয়ামের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার তিনদিনের রিমান্ড আদেশ দেয়।
একই আদালতে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় আসামি বাপ্পি ও সজীবকে সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হালদার অর্পিত ঠাকুর।
আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
বুধবার রাতে শরীয়তপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সিয়ামকে। অন্য দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয় কক্সবাজার থেকে।
গত ১৮ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সংঘর্ষের পর নিহত হন নাহিদ হাসান ও মুরসালিন নামে দুজন। পরে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ও হত্যার ঘটনা মামলা হয়।
এ ঘটনায় বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনসহ গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের আব্দুল কাইয়ূম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পলাশ ও ইরফান, বাংলা বিভাগের ফয়সাল এবং ইসলামের ইতিহাস বিভাগের জুনায়েদকে। পরে তাদের রিমান্ডে নেয়া হয়।