বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে অপপ্রচারে জাতিসংঘের সংস্থা: সরকার

  •    
  • ৫ মে, ২০২২ ২১:৩৯

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে ভুল তথ্য যাচ্ছে।

কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলে বিবৃতি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই বিবৃতি প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে ভুল তথ্য যাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার সবার জন্য বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষা নিশ্চিত করার উপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। একইভাবে সরকার ক্যাম্পের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম সহজতর করছে।

রোহিঙ্গা শিশুদের শেখার সুবিধা সম্পর্কে অপপ্রচার করা হচ্ছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমের আওতায় ধীরে ধীরে শেখার সুবিধা আনতে স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করার কাজ করছে। সেখানে শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা, শিক্ষক বা শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হতে বাধা দেয়ার খবর মিথ্যা ও বানোয়াট। বাংলাদেশ সরকার ক্যাম্পের ভেতরে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শেখার সুযোগের ব্যবস্থা করেছে, যার সবগুলোই চালু আছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিক্ষা সেক্টর অপারেটর বা ইউনিসেফ শিক্ষার সুবিধা বন্ধ করার বিষয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, রোহিঙ্গা শিশুরা ইউনিসেফ এবং ব্র্যাকের অধীনে ‘লার্নিং কম্পিটেন্সি ফ্রেমওয়ার্ক অ্যান্ড অ্যাপ্রোচ (এলসিএফএ)’ নামের একটি পাঠ্যক্রম সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ক্যাম্পে অধ্যয়ন করে। গত বছরের শেষ থেকে মিয়ানমার কারিকুলাম পাইলট (এমসিপি) নামে একটি পাইলট প্রকল্প ক্যাম্পে চালু করা হয়েছে, যা মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে এবং প্রাথমিকভাবে মিয়ানমারের ভাষায় পরিচালিত হয়। জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর সহায়তায় সরকারি সংস্থাগুলো মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুসারে শিক্ষার ব্যবস্থা করছে।

রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকরা পাঠদান পরিচালনা করছেন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম শেখানোর জন্য অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের নিযুক্ত করা হচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। জাতিসংঘ স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষকদের অংশগ্রহণকে আরও বাড়াতে একটি নীতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে পাঠদান স্থগিত ছিল। করোনা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এগুলো পুনরায় চালু করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতোই সেখানে সব শিক্ষা সুবিধা নিয়মিত চলছে।

করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বা সরকারি ছুটিতে ছুটি উপভোগ করা, শিক্ষার নামে অননুমোদিত ব্যবসায়িক উদ্যোগ স্থগিত করাকে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার সুযোগ ব্যাহত করার প্রচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত নয় বলে বিবৃতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতার প্রশংসা করে বলা হয়েছে, মিয়ানমার কারিকুলামের অধীনে শেখার ধারাবাহিকতাকে শিশুদের সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত রাখার একটি প্রচেষ্টা। এটি তাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে।

এ বিভাগের আরো খবর