ফরিদপুরের সালথায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা মামলায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের নিউ মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ওই নেতার নাম খন্দকার রেজাউর রহমান ওরফে চয়ন। ৪৫ বছরের এই ব্যক্তি সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সালথার গট্টি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘জেলার সালথা উপজেলার সিংহপ্রতাপ গ্রামে পুলিশ অ্যাসল্ট (হামলা) ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গত মাসের ১৪ এপ্রিল ফরিদপুরের সালথা থানায় এ-সংক্রান্ত একটি মামলা হয়।
‘গ্রেপ্তারের পর রেজাউরকে সালথা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। তিনি এখন সালথা থানায় রয়েছেন।’
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার রেজাউর রহমান গট্টিতে গ্রাম্যদলের নেতৃত্ব দিতেন। তিনি গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান বিজয়ী হন। এর পর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী খন্দকার রেজাউর রহমান আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক যুবলীগ নেতা খোরশেদ খান এক হয়ে গট্টি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে ইউনিয়নের পরিবেশ উত্যপ্ত হয়ে ওঠে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গট্টিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন, ‘খন্দকার রেজাউর রহমানকে রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’