পিরোজপুরে মুখ চেপে ঘর থেকে তুলে নিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার রাতে পিরোজপুর পৌর এলাকার নরখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার সকালে পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়েছে। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে তার পরিবার।
সদর থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রাত ৩টার দিকে পাশের গ্রামের মাইনুল শেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় দু-তিনজন ওই তরুণীর ঘরে ঢোকেন। মুখ চেপে বাইরে নিয়ে মাইনুল শেখ তাকে ধর্ষণ করেন। কান্না শুনে সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন তার বাবা। পরে পুলিশকে খবর দেন আত্মীয়স্বজন।
ওই তরুণীর মা বলেন, ‘পাশের গ্রামের মাইনুলের সঙ্গে আমার মেয়ের কিছুদিন ধরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। এর পর থেকে সে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বাসার পাশে ঘোরাফেরা করে। রাতে দরজা খোলা পেয়ে সে মেয়ের সর্বনাশ করেছে। মেয়েটা এখন হাসপাতালে ভর্তি। খুবই অসুস্থ।’
ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘ভোরে ধর্ষণের তথ্য পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। ওই তরুণীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার বাবা থানায় এসে পাশের গ্রামের মাইনুল শেখ নামে এক যুবককে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাতপরিচয় দু-তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।’
মাইনুলসহ আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি।