বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লঞ্চে ঈদযাত্রার প্রথম দিনে বরিশালের যাত্রীদের ভোগান্তি কম

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২২ ১০:০৪

সুন্দরবন ১১ ল‌ঞ্চের যাত্রী সুবাহ জাহান ব‌লেন, ‘ল‌ঞ্চে তেমন কো‌নো সমস্যা হয়‌নি। নি‌র্বিঘ্নে, শান্তিতে বরিশাল এসেছি। করোনার কারণে গত দুই বছর গ্রামের বাড়িতে আসতে পারিনি। এবার আস‌তে পে‌রে ভা‌লো লাগ‌ছে।’

প্রিয়জনদের সঙ্গে বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে শুরু হয়ে গেছে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে মানুষের বাড়ি ফেরা। সব পথেই ঘরে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড়।

লঞ্চে ঈদযাত্রার প্রথম দিন কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা বরিশাল পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের কাছ থেকেও পাওয়া যায়নি কোনো অভিযোগ।

রাজধানীর সদরঘাট থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হয় বরিশালমুখী লঞ্চের যাত্রা। রাত ১টা থেকে ভোর পর্যন্ত ব‌রিশাল নদীবন্দ‌রে সেগুলো নোঙর করতে শুরু করে। প্রতিটি লঞ্চই ছিল যাত্রীতে বোঝাই।

বন্দরের বাইরে যানজট নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি ছিল সিটি করপোরেশনের কর্মীরাও।

নদীবন্দ‌র কর্তৃপক্ষ জানায়, রাত ১টায় রাজারহাট বি নামের একটি ভায়া লঞ্চ সর্বপ্রথম বরিশাল আসে। এরপর রাত ১টা ২০ মি‌নি‌টে রয়্যাল ক্রুজ, আড়াইটায় পূবালী ৭, ৩টা ৯ মিনিটে ফারহান ৭ নোঙর করে। পর্যায়ক্রমে আসে মানামী, রেডসান, পারাবাত ১০, প্রিন্স আওলাদ ১০, কুয়াকাটা ২, সুন্দরবন ১১, সুরভী ৮, কীর্তনখোলা ১০ ও পারাবাত ১২।

সুন্দরবন ১১ ল‌ঞ্চের যাত্রী সুবাহ জাহান নিউজবাংলাকে ব‌লেন, ‘ল‌ঞ্চে তেমন কো‌নো সমস‌্যা হয়‌নি। নি‌র্বিঘ্নে, শান্তিতে বরিশাল এসেছি। করোনার কারণে গত দুই বছর গ্রামের বাড়িতে আসতে পারিনি। এবার আস‌তে পে‌রে ভা‌লো লাগ‌ছে।’

পূবালী ৭ ল‌ঞ্চে আসা আফসানা রুম্পা ব‌লেন, ‘শত ক‌ষ্ট ক‌রে হ‌লেও ঈদে বাড়ি ফি‌রে অনেক খুশি। কিছু ভোগা‌ন্তি ছি‌ল, ত‌বে ব‌রিশা‌লে পা দি‌য়ে সব ভু‌লে গে‌ছি।’

ব‌রিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্পেশাল সা‌র্ভিসের প্রথম দি‌ন ভায়াসহ প্রায় ২৩টি লঞ্চ ঢাকা থেকে বরিশাল এসেছে। প্রতি লঞ্চে ছিল গড়ে ৪ হাজার যাত্রী।

তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মানুষ স্বাচ্ছ‌ন্দ্যে বা‌ড়ি ফি‌রছেন। আমরা সব সময় টহল দিচ্ছি। প্রতিটি লঞ্চকে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে। প্রথম দিন অধিকাংশ যাত্রী বেশ ঝামেলাহীনভাবেই বরিশাল পৌঁছেছেন।’

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সেলিম মোহাম্মদ শেখ জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে এবং তারা যেন লঞ্চঘাট থেকে নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছাতে পারেন সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শুধু ঘাট এলাকাতেই ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের ৪০ জন সদস্য রাতভর কাজ করছেন। মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।

এ বিভাগের আরো খবর