বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার

  •    
  • ২৯ এপ্রিল, ২০২২ ০১:২৩

ডা. মন্দিরা মজুমদারের পরিবার এ ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করে এ জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারকে দায়ী করেছে।

খুলনা মহানগরীতে মন্দিরা মজুমদার নামে এক নারী চিকিৎসকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার মজিদ সরণি রোডের বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মন্দিরা মজুমদার ওই এলাকার প্রদীপ মজুমদারের মেয়ে। তিনি ২০২১ সালে খুলনা গাজী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এটিকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করে এ জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারকে দায়ী করেছে পরিবার।

মন্দিরার বাবা প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার পিত্তথলির অপারেশন করা হয়। তখন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের সঙ্গে আমার মেয়ের পরিচয় হয়। এই সম্পর্কের জেরে ডা. সুহাস আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে রাতযাপন করে।’

‘পরবর্তীতে আমার মেয়ে জানতে পারে যে ডা. সুহাস বিবাহিত। আমার মেয়ে তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয়। মেয়েটি যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মামতাজুল হক বলেন, ‘ডা. মন্দিরার মরদেহ নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের রডের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

‘ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে ডা. সুহাসের শাস্তি হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর