বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বারে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসা নিয়ে বিএনপিপন্থিদের প্রতিবাদ

  •    
  • ২৮ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:২৩

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফলাফল ঘোষণার মুহূর্তের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যে অনভিপ্রেত আচরণ করা হয়েছিল, তার-ই ধারাবাহিকতায় অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’

তালা ভেঙে ভোট পুনর্গণনা করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী আব্দুন নূর দুলালের চেয়ারে বসার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

তারা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগপন্থিরা বারের গত ৭৫ বছরের ঐহিত্য লঙ্ঘন করেছে।

এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

লিখিত বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফলাফল ঘোষণার মুহূর্তের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যে অনভিপ্রেত আচরণ করা হয়েছিল, তার-ই ধারাবাহিকতায় অত্যন্ত ন্যক্কারজনকভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যকে লঙ্ঘন করে নজিরবিহীনভাবে সন্ত্রাসী এবং অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’

এর ফলে বারের ৭৫ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

অবিলম্বে সাংবিধানিকভাবে গঠিত নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের ফল প্রকাশ করে এ অচলাবস্থা নিরসনের দাবি জানান তিনি।

এই আইনজীবী বলেন, ‘আব্দুর নুর দুলাল সাহেবের অবৈধ প্রক্রিয়ায় সেক্রেটারির রুম দখলকে প্রত্যাখ্যান করছি। দলমত নির্বিশেষ সব আইনজীবীকে এর রিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জয়নুল আবেদীন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আব্দুল জব্বার ভূইয়া, কামরুল ইসলাম সজল।

এর আগে গতকাল বুধবার তালা ভেঙে ভোট পুনর্গণনা করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুন নুর দুলালকে বিজীয় ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদ জানান বিএনপিপন্থি আইনাজীবীরা।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে গত ১৫ ও ১৬ মার্চ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন উপকমিটি এ ভোট গ্রহণ করে। এর এক দিন পর ১৭ মার্চ ভোট গণনা করে রাতে ফল ঘোষণার সময় আওয়ামীপন্থি আইনজীবী প্যানেল পক্ষের সম্পাদক প্রার্থী ভোট পুনর্গণনার দাবি করে লিখিত আবেদন জানালে তখন ফল ঘোষণা আটকে যায়।

ওই রাতে ফল ঘোষণা না করে মশিউজ্জামান সমিতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

দীর্ঘ ১ মাস ১৩ দিন পর গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাবেক সহসভাপতি অজি উল্লাহ দাবি করেন, গত ১২ এপ্রিল সমিতির কার্যকরী কমিটির মেয়াদের শেষ এক সভায় তাকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি নির্বাচন উপকমিটি করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর