নওগাঁ জেলার সাপাহারের চাঁপাই ফাইভ স্টার নামে হোটেলে গত ৬ জানুয়ারি দুপুরের খাবার খেতে যান বগুড়া টিএমএসএস ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড আইসিটির অধ্যক্ষ সুব্রত সুবন আচার্য্য। বিল পরিশোধের সময় দেখেন, এক বাটি লালশাকের দাম ১০০ টাকা ধরে দুই বাটি হিসাবে ২০০ টাকা ধরা হয়েছে।
হোটেলমালিককে দোকানে না পেয়ে তিনি বিল শোধ করে চলে যান। পরে অভিযোগ জানান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নওগাঁ জেলা কার্যালয়ে।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামীম হোসেন বুধবার ওই হোটেলে অভিযানে যান। জরিমানা করেন মালিককে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন শামীম নিজেই।
তিনি বলেন, ‘ওই অধ্যক্ষ আমাদের কাছে অভিযোগ জানানোর পর বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চাঁপাই ফাইভ স্টার হোটেলমালিককে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ নওগাঁ অফিসে আসার জন্য পরপর তিনবার নোটিশ করা হয়। হোটেলমালিক উপস্থিত না হওয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে তার দোকানে গিয়ে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে ৭৫০ টাকা দেয়া হয়।’
লালশাকের দাম বাটিপ্রতি ১০০ টাকার বিষয়ে জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় হোটেলমালিক ইব্রাহিম হোসেনের সঙ্গে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘যে সময় ওই অধ্যক্ষ সাহেব খাবার খেয়ে বিল দিচ্ছিলেন, তখন আমি ছিলাম না হোটেলে। অন্য কর্মচারীরা ছিল। আর খাবারের বিলে একটি ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে।
‘বিল যেহেতু বেশি হয়েছে, যার কারণে জরিমানা করা হয়েছে। আমি জরিমানা পরিশোধ করেছি। ব্যস্ত ছিলাম তাই ভোক্তা অফিসে যেতে পারিনি। এ নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না। যা হবার তা তো হয়েছে।’