আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেয়।
আদালতে মুক্তির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম।
টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তিকে জামিন দেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তর্বর্তী জামিন বাতিল করে ওই আদালত। এরপর জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন মুক্তি।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি খুন হন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদ। তার গুলিবিদ্ধ লাশ কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্ট আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
আদালতে এই দু’জন স্বীকারোক্তিতে বলেন, ফারুক হত্যার সঙ্গে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা জড়িত। এ ঘটনায় রানার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন এবং ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত থাকার তথ্যও উঠে আসে। এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান।
গোয়েন্দা পুলিশ ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। তার অপর দুই ভাই এখনো আত্মগোপনে আছেন।