বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের কাফুরা গ্রামে বুধবার সকাল ৭টার দিকে মীম আক্তারকে হত্যার ঘটনা ঘটে। সকাল ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধার ও স্বামী শাকিল আহমেদকে আটক করে পুলিশ।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মীমের পরিবারের দাবি, ঈদের উপহার না পেয়েই মীমকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী শাকিল।
তবে এ দম্পতির মধ্যে মনোমালিন্য ছিল বলে জানতে পারলেও ঈদের উপহার না পাওয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত ২১ বছরের মীম কাফুরা গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী ২৫ বছরের শাকিল একই এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে। পেশায় তিনি ট্রাকের হেলপার।
মীমের স্বজনরা জানান, প্রায় এক বছর আগে মীম ও শাকিলের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে পারিবারিকভাবেই তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর প্রথম ঈদ হওয়ায় শাকিলকে শ্বশুরবাড়ি থেকে ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। কিন্তু টাকার সঙ্গে ঈদের উপহারও চেয়েছিলেন শাকিল। এ নিয়ে স্ত্রী মীমের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তার।
এ নিয়ে সপ্তাহখানেক আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাবার বাড়ি চলে আসেন মীম। দুদিন আগে তাকে আবার বাড়িতে নিয়ে যান শাকিল। এর পরই এ ঘটনা ঘটে।
মীমের মা জলি বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শাকিল শুধু নগদ টাকায় সন্তুষ্ট ছিল না। আলাদা উপহার না দেয়ায় বুধবার সকালে মীমকে মারধর করে সে। এতে অসুস্থ হয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মারা যায় মীম।’
তবে মীমের বাবা মজনু মিয়া বলেন, ‘শাকিল ঈদের জন্য ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিল। ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে গণ্ডগোলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে শাকিল।’
এদিকে শাকিলের দাদি মর্জিনা বলেন, ‘ওদের কখনও ঝগড়া দেখিনি বাবা। কাল রাতে ওরা নিজেদের ঘরে ঘুমায়। সকালে বউয়ের লাশ দেখি। রাতে কী হইছে জানি না।’
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
‘মীমের সঙ্গে স্বামী শাকিলের মনোমালিন্য চলছিল, এটা জানা গেছে। তবে ঈদের উপহার নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে কি না পুলিশ তা এখনও নিশ্চিত নয়।’
এ ঘটনায় শাকিলকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’