বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আকাশপথে দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নয় কেন

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:০২

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিমানে সব রুটে একভাবে ভাড়া হিসাব করার সুযোগ নেই। কক্সবাজারে যে ধরনের ক্যালকুলেশন থাকবে, বরিশাল বা সৈয়দপুরে সেই ক্যালকুলেশন থাকবে না। শুধু নটিক্যাল মাইলের ভিত্তিতে ভাড়া দেখাতে চাইলে প্যাসেঞ্জারদের কাছে ভুল তথ্য যাবে।’

দেশি বিমান সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অন্য পথের তুলনায় ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, সবসময় এই পথে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, শুধু দূরত্ব দিয়ে বিমানের ভাড়া বিবেচনার সুযোগ নেই।

ফ্লাইট কানেকশনস নামের একটি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলের সবচেয়ে ছোট দৈর্ঘ্যের পথ ঢাকা-বরিশাল। এই পথের দূরত্ব ৭২ অ্যারোনটিক্যাল মাইল। এবং সবচেয়ে বেশি দূরত্ব ঢাকা-কক্সবাজার আকাশপথে, যা ১৯২ অ্যারোনটিক্যাল মাইল।

প্রতিদিন ঢাকা-বরিশাল রুটে বিমান বাংলাদেশের একটি, ইউএস বাংলার দুইটি ও নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট এবং ঢাকা-কক্সবাজারে ১০টি ফ্লাইট চলাচল করে।

বিমান সংস্থাগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই পথে বিমান বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ভাড়া ৪৮০০ টাকা এবং ইউএস বাংলা ও নভোএয়ারের ৫০০০ টাকা।

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বিমান বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ভাড়া ৬৫০০ টাকা, ইউএস বাংলার ৫২০০ টাকা এবং নভোএয়ারের ৪৫০০।

অর্থাৎ ঢাকা-বরিশাল রুটের দূরত্ব ঢাকা-কক্সবাজারের তুলনায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ। তবে ভাড়ার পার্থক্য বেশ কম।

এ বিষয়ে বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার মানুষ বিমানের ভাড়ায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই অ্যারোনটিক্যাল মাইল অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করা হোক।

‘এ ছাড়া ঈদের সময় যে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হয় সেটারও প্রতিবাদ জানাই।’

জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘বিষয়টি আমারও দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বরিশাল অঞ্চলের মানুষ কেন বিমানে অতিরিক্ত ভাড়া দেবে? বিষয়টি সম্পর্কে আমরা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) লিখব। প্রয়োজনে বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করব।

‘দূরত্বের ভিত্তিতে দ্রুত যেন ঢাকা-বরিশাল রুটের বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করব।’

ঢাকা-বরিশাল রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বরিশাল অফিসের ব্যবস্থাপক আবু আহম্মেদ জানান, বিষয়টি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ওপর নির্ভরশীল। তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

নভোএয়ার ও ইউএস বাংলার বরিশাল অফিসে যোগাযোগ করেও একই উত্তর পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলামের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘ল্যান্ডিং, পার্কিং, সিকিউরিটি, রুট নেভিগেশন, ফুয়েল প্রাইস, এয়ার ক্রাফটের লিজিং মানি, পাইলট-ক্রুদের বেতন-ভাতা, ট্যাক্স এরকম অনেক কিছু হিসাব করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। তবে সব রুটে একভাবে ভাড়া হিসাব করার সুযোগ নেই। কক্সবাজারে যে ধরনের ক্যালকুলেশন থাকবে, বরিশাল বা সৈয়দপুরে সেই ক্যালকুলেশন থাকবে না। শুধু নটিক্যাল মাইলের ভিত্তিতে ভাড়া দেখাতে চাইলে প্যাসেঞ্জারদের কাছে ভুল তথ্য যাবে।

‘একটা এয়ারলাইন্সের রুটের ইনকাম ছাড়া আর কোনো ইনকাম নেই। এর ভাড়ার সঙ্গে অনেক ধরনের ভ্যারিয়েবল কস্ট এবং ফিক্সড কস্ট ইনভলভ আছে। তা ছাড়া কোনো রুটে যদি ভাড়া বেশি হয় তাহলে সেটার ইনকাম দিয়ে আরেকটি রুটে সাবসিডি দেয়া হয়।’

কামরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কক্সবাজার আর সৈয়দপুরের নটিক্যাল মাইল প্রায় এক। তবে এই দুই রুটে ভাড়ার পার্থক্য প্রায় ১ হাজার টাকা। কারণ সব রুটের অপারেশনাল কস্ট এক নয়।

‘বরিশালের দূরত্ব কক্সবাজারের চেয়ে কম হলেও অ্যারোনটিক্যাল, নন অ্যারোনটিক্যাল চার্জ কিন্তু দুই জায়গাতেই এক। আবার যাত্রী সংখ্যাতেও কমবেশি আছে। তাই ফুয়েলের খরচ কিছুটা কম হলেও সব মিলিয়ে ভাড়া বেশি চলে আসে।’

এ বিভাগের আরো খবর