কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গড়াই নদী থেকে স্কুলছাত্রী মিমের পর তার খালার মরদেহও উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল সোমবার সন্ধ্যায় চামেলি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে। চামেলি খাতুনের বাড়ি কুমারখালীর মুলগ্রামে।
এর আগে সোমবার দুপুর ১টার দিকে পাথরবাড়িয়া এলাকায় গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে যায় মিম ও তার খালা চামেলি খাতুন। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চার ঘণ্টা চেষ্টার পর মিমের মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে কুমারখালী ফায়ার স্টেশনের পরিদর্শক বখতিয়ার উদ্দিন জানান, খুলনা থেকে লিডার সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ডুবুরিদল আসে সন্ধ্যায়। ইফতারের পর পর দুজন নদীতে নামেন। ৫ মিনিটের মধ্যেই যেখানে ডুবে গিয়েছিল তার অন্তত ২৫ হাত দূরে চামেলির মরদেহ পান ডুবুরি হুমায়ন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এর আগে সোমবার দুপুরে খোকসা উপজেলার দুধরাজপুরের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মিম খাতুন নানা বাড়ি বেড়াতে এসে খালাসহ অন্যদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে নামে।
দুপুর ১টার দিকে খালা চামেলি ও মিম নদীর খনন করা অংশে গভীর পানিতে তলিয়ে যায়। অন্যরা তা দেখে চিৎকার করতে থাকলে স্থানীয়রা এসে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।