বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

থানা নাকি খেলার মাঠ, আলোচনা করে সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ১২:৫৯

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়রকে বলেছি, সবাইকে বলেছি বিকল্প একটা খোঁজার জন্য। যদি না হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও এটা অতীব জরুরি। এটা আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব, কী করা যায়।’

রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজে সোমবার দুপুরে ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সময়ে যেখানে খেলাধুলা করতাম, সেই অবস্থাটা এখন আর নেই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা কষ্ট বোধ করি।

‘মূল কারণ আমাদের নগরায়ন, আমাদের জায়গা কম। কলাবাগান প্রসঙ্গ যখন আসে, আমরা যাই কিছু বলি, গুরুত্বের দিক দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা বড় দায়িত্ব থাকে। আমরা যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে সব কিছু মুখ থুবড়ে পড়বে। কলাবাগান থানা ভবন দীর্ঘদিনের একটি প্রচেষ্টা। ভাড়া ভবনে থানা পরিচালনা হচ্ছে।’

মাঠে থানা নির্মাণ নিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ডিসি মহোদয় জায়গাটি খাস জমি বলে চিহ্নিত করে বরাদ্দ দিয়েছে কলাবাগান থানাকে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে যখন ভবন নির্মান করতে যায়, তখন খেলার মাঠের দাবিতে...আমাদের মেয়র বলেছেন, এই জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দিতে।

‘আমরা মনে করি খেলার মাঠে বাচ্চারা খেলাধুলা করবে, এটাই স্বাভাবিক এবং খেলার মাঠ যেন থাকে, সে জন্য আমরা মনে করি খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। মেয়রকে বলেছি, সবাইকে বলেছি বিকল্প একটা খোঁজার জন্য। যদি না হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও এটা অতীব জরুরি। এটা আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব, কী করা যায়।’

খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারী মা-ছেলেকে আটকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে সন্ধ্যার পরে অনেকেই ফোন করেছিল। আমি ঘটনার যতটুকু জেনেছি, এইটুকু হচ্ছে। তারা লাইভ ভিডিওতে এসে অনেকে কিছু প্রচার করছিল। সেগুলো নাকি একটু অসংগতিপূর্ণ।

‘সে জন্য বারবার নিবৃত করার পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন থামাতে পারেনি, তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়েছিল এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

আটকের পর মুক্ত মা-ছেলে

কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষায় আন্দোলনকারী সৈয়দা রত্না ও তার ছেলেকে আটকের পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

রোববার রাত ১২টার দিকে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান।

এর আগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া নিয়ে কলাবাগান থানা পুলিশ নানা তথ্য দেয়। ছেড়ে দেয়ার অল্প সময় আগেও পুলিশ জানায়, শুধু রত্নার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তার ছেলেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এর পর পরই তারা এই বক্তব্য থেকে সরে আসেন।

এ বিষয়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে জানতে চাইলে এসি শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলা হয় নাই। সিদ্ধান্তটা হচ্ছে এ রকম, যেহেতু তিনি একটা মুচলেকা দিছেন, তিনি ভুল বুঝতে পারছেন। তিনি সরকারি কাজে আর বাধা দিবেন না। এ কারণে মা ও ছেলেকে তার পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

তেঁতুলতলা মাঠ রক্ষার আন্দোলনে থাকা সৈয়দা রত্না ও তার ছেলেকে রোববার সকালে আটক করে পুলিশ। তেঁতুলতলা মাঠ থেকে তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সকালে সৈয়দা রত্না মাঠে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে ফেসবুকে লাইভ করছিলেন। লাইভ দেয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, সরকারি কাজে বাধা দেয়ার জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

কলাবাগানের বাসিন্দারা জানান, তেঁতুলতলা মাঠের এক বিঘা জমি একজন বিহারির মালিকানায় ছিল। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর তিনি আর দেশে ফেরেননি। সেই জায়গাটিতে স্থানীয় শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করত।

সরকারি খাস জমি হিসেবে নথিভুক্ত এই ফাঁকা জায়গাটিতে থানা করতে বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আর এর পর থেকেই সেই জায়গাটি খেলাধুলার জন্য ফাঁকা রাখার দাবি উঠেছে।

কলাবাগানে সিটি করপোরেশনের একটিমাত্র খেলার মাঠ আছে। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের পাশেই সেই মাঠ।

এ বিভাগের আরো খবর