দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার দায়িত্বভার পাওয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন তাদের দ্বিতীয় সভায় বসেছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সোমবার বেলা ১১টায় সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেটি শুরু হয় ১১টা ১৮ মিনিটে।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল নতুন কমিশনের প্রথম সভা ২৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রথম কর্মদিবসে দেরিতে শুরু ইসির সভা
সিইসির সভাপতিত্বে বাকি চার কমিশনারসহ ইসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সোমবারের সভায় অংশ নেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আজ কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে পারে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
সভার আলোচ্যসূচিতে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের বেশ কিছু নির্বাচনের বিষয় রয়েছে।
গত ৫ এপ্রিল বর্তমান কমিশনের প্রথম সভা হয়। সেই সভায় কুমিল্লা সিটি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করতে পারেনি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
সে সময় রমজানের শেষের দিকে তফসিল দিয়ে ২০ জুনের মধ্যে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
সীমানা জটিলতা এবং সময় স্বল্পতার কারণে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে আগামী ২০ জুনের মধ্যে এই ভোট আয়োজন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল কমিশন, তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দাবি ইসির গাফিলতিতেই এই আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে।
নির্ধারিত সময়ে ভোট আয়োজন না করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে দফায় দফায় শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কুমিল্লা সিটিতে সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নির্বাচন হয়। আর প্রথম সভা হয় একই বছরের ১৭ মে। আইন অনুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ।
সেই অনুযায়ী এই সিটির মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ১৬ মে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণ করতে হয়। সেদিক থেকে গত ১৬ নভেম্বর এই সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়।
দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন হয়।
২০১৭ সালে এসে এ সিটিতে বেশ কয়েকটি ইউপিকে অন্তর্ভুক্ত করে আয়তন বাড়ানো হয় প্রায় তিন গুণ। এতে দেখা দেয় সীমানা জটিলতা। বর্তমানে এই সিটিতে ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে।
এই সিটি করপোরেশন গঠনের পর থেকে মেয়র পদে রয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। গত নির্বাচনে সিটিতে ১০৩টি কেন্দ্রে ছিল আর ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।