রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিস্ফোরণে দগ্ধ এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রী দুই ঘণ্টার ব্যবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একমাত্র মেয়েশিশুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
সোমবার রাত ও ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এই দম্পতির মৃত্যু হয়।
মারা যাওয়া দুজন হলেন ৩০ বছর বয়সী আব্দুল করিম ও তার স্ত্রী ২৫ বছর বয়সী মোছা. খাদিজা আক্তার। চিকিৎসাধীন তাদের দুই বছরের মেয়ের নাম ফাতেমা।
গত ২০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৩টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকার একটি বাসায় বিস্ফোরণে দগ্ধ হন এই তিনজন। তাদের ওই দিন ভোর ৫টার দিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুর্ঘটনার পর প্রথমে হতাহতদের স্বজনরা জানিয়েছিলেন, বাসায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন তারা। তবে পরে পুলিশ ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের তদন্তে জানা যায়, রান্নঘরে জমে থাকা গ্যাসে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আব্দুল করিমের ভাই কামাল হোসেন বলেন, ‘কোনাপাড়া এলাকায় একটি মুদির দোকান চালাতেন আমার ভাই। সেহরির খাবার রান্নার সময় ২০ এপ্রিল হঠাৎ তাদের বাসায় ফ্রিজের কম্প্রেসার বিস্ফোরিত হয়। এতে আমার ভাবি-ভাই ও দুই বছরের শিশুকন্যা দগ্ধ হয়।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন আইয়ুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৪টার দিকে স্বামী ও ভোর ৬টার দিকে স্ত্রী মারা গেছেন। আব্দুল করিমের শরীরের ৫৪ শতাংশ এবং খাদিজার ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
‘তাদের দুই বছরের মেয়ে ফাতেমার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক।’