বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঈদে শিমুলিয়ায় ১৭টির বদলে চলবে ১০ ফেরি

  •    
  • ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ০৮:২৪

গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেলে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। টার্মিনালে সিরিয়ালে থাকতে হয় যানবাহনগুলোকে। তবে নৌপথে ব্যক্তিগত যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী গাড়িসহ ছোট যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরির সংখ্যা কম থাকা এবং শুধু সকাল-সন্ধ্যা চলাচল করায় এবার ঈদে ঘরে ফিরতে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন যাত্রীরা। অন্যদিকে পদ্মার পানি বাড়তে থাকায় ফেরি চালকরা পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন।

ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলগামী এই পথে ঈদে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো এবং ২৪ ঘণ্টা ফেরি চালু রাখার দাবি যাত্রীদের।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাটে কর্মরত ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন জানান, গত বছর বর্ষা মৌসুমে জুলাই ও আগস্ট মাসে পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে কয়েক দফায় পদ্মা সেতুর তিনটি পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন যাত্রী। ফেরির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুর পাইল ক্যাপ।

এই পরিস্থিতিতে নৌপথে সব ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ১৮ আগস্ট দুপুরের পর থেকে এই নৌপথে ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর কয়েক দফায় সীমিত আকারে ফেরি চালু হয় এবং বন্ধও করা হয়।

এরপর শরীয়তপুরের জাজিরার মাঝিকান্দি ঘাটে স্থানান্তর করা হয় ফেরিঘাট। দিনের বেলা মাত্র তিনটি ফেরি চলে মাঝিকান্দি রুট দিয়ে। পরে গত বছর ৭ নভেম্বর থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছোট ছোট পাঁচটি ফেরি দিয়ে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রী পারাপার শুরু করা হয়।

বাংলাবাজার ঘাট ঘুরে জানা যায়, এ নৌপথে বর্তমানে শুধু দিনের বেলায় ফেরি সার্ভিস চালু রয়েছে। বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রো-রো ফেরিসহ মাত্র চারটি ফেরি চলে। এ ছাড়া মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া রুটে চলে তিনটি ফেরি। দুই নৌপথে মোট সাতটি ফেরি চলাচল করছে। গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেলে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। টার্মিনালে সিরিয়ালে থাকতে হয় যানবাহনগুলোকে।

তবে নৌপথে ব্যক্তিগত যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী গাড়িসহ ছোট যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস পারাপার বন্ধ আছে নৌপথ দিয়ে। নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে। ঈদকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে লঞ্চগুলো প্রস্তুত। তবে ঈদে দুই ঘাটে ১০টি ফেরি চলাচলের কথা রয়েছে।

আকরাম বেপারী নামে এক যাত্রী বলেন, ‘গত বছর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ১৭টি ফেরি চলেছে, এবার নাকি দুই রুটে ১০টির মতো ফেরি চলবে। এত দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাব, দিনের বেলায় অন্তত সতর্কতার সঙ্গে সব ফেরিই চালু রাখার। রাতে সব না চললেও হয়। তবে ফেরি যদি কম চলে, তাহলে দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।’

অন্যদিকে পদ্মায় পানি বাড়ায় সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চালাতে অনীহা ফেরির মাস্টারদের। রো-রো ফেরি বেগম সুফিয়া কামালের মাস্টার ইনচার্জ মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার কারণে অনেক সময় ফেরি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে যায়। এ কারণে সেতুর পিলারে ধাক্কা লাগারও সম্ভাবনা থাকে।

‘অনেক সময় ঘূর্ণায়মান স্রোতের কারণে ফেরি ব্রিজের পিলারের দিকে চলে যায়। দিনের বেলায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও রাতে তো তা সম্ভব না। তাই ঈদের কারণে কর্তৃপক্ষ বললেও আমাদের অনীহা রয়েছে।’

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন আরো বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি দুই ঘাট মিলে সাতটি ফেরি চলছে। তবে ঈদে মোট ১০টি ফেরি চলাচল করবে। যাত্রীদের দুর্ভোগ একটু কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

‘কারণ এবার দুই রুটেই লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল করছে। অন্যদিকে বরিশাল-ঢাকা লঞ্চ চলবে, দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা সেখান দিয়েই যাতায়াত করবে। ফলে গতবারের চেয়ে ফেরিতে চাপ কম হবে। তারপরে রাতে ফেরির চলাচলের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। হলে রাতেও ফেরি চলবে।’

এ বিভাগের আরো খবর