ইফতারের আগে বরিশাল নগরীর সড়ক ও মহাসড়ক থেকে সরে গেছে অবরোধকারীরা।
রোববার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে সড়ক থেকে সরে যায় উভয় পক্ষ। তবে ইফতারের পর তারা আবারও সড়ক অবরোধ করবে বলে হুমকি দিয়েছে।
সড়ক থেকে সরে ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে ময়লার গাড়ি রেখে অবস্থান নিয়েছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
করপোরেশনের কর্মচারী মো. আকাশ বলেন, ইফতারির কারণে সড়ক ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ইফতারের পর আবার সড়ক অবরোধ করা হবে।
২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘ইফতারের কারণে মহাসড়ক থেকে সরে গেছি আমরা। ইফতারের পর আন্দোলনে নামব। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
কাউন্সিলর বিপ্লবের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনে রোড ইন্সপেক্টর রাজীব হোসেনকে মারধরের অভিযোগ এনে বেলা ৩টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ভোগান্তির মুখে পড়েন নগরবাসী।
এ অবস্থার মধ্যেই বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন কাউন্সিলর বিপ্লবসহ ১০ কাউন্সিলর ও তাদের সমর্থকরা।হঠাৎ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হতে দেখা যায় অনেককে।
সিহাবুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ‘পারিবারিক কাজে রূপাতলী যাচ্ছিলাম। বিক্ষোভকারীরা অটোরিকশা ঘুরিয়ে দিলে চরম বিপাকে পড়ি। জিয়া সড়কের সামনে থেকে রূপাতলী পর্যন্ত এখন হেঁটে যেতে হবে।’
যাত্রী ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমরা সুনামগঞ্জ যাব চারজন। অনেক মালামাল রয়েছে। এখন মাথায় নিয়ে হাঁটা শুরু করেছি।’
যা বলছে দুই পক্ষ
রোড ইন্সপেক্টর রাজীব হোসেন খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটি ভবনের প্ল্যান চেক করতে যাওয়ার পর কাউন্সিলর বিপ্লব আমাকে ফোন দিয়ে নানা কথা বলে হোসাইনিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নেন। এরপর তাকে না বলে কেন প্ল্যান চেক করতে গিয়েছি সেই অভিযোগ তুলে আমাকে মারধর করেন। এরপর অন্য স্টাফরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।’
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে একটা কাজ করতে আসবে সেটা আমিই জানি না। আমার সব স্টাফ নিয়ে গেছেন মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ। আমি শুধু ওই স্টাফকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করেছি। আমার অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে। এখন আমিও ষড়যন্ত্রের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছি।’