কুষ্টিয়া শহরের হাউজিংয়ে শেফালী বিশ্বাস নামে এক গৃহবধূ খুনের অভিযোগে মামলা হয়েছে ১৯ এপ্রিল।
গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে হাউজিংয়ের নিজ বাসা থেকে ৫৫ বছর বয়সী এই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কীভাবে খুন হন শেফালী, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি এখনও। রহস্য জানতে কাজ করছে পুলিশ ও সিআইডি।
সিআইডি ঘটনার দিন যে আলামত সংগ্রহ করেছিল, তা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাব্বিরুল আলম জানান, সিআইডির প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ করছে পুলিশ ও সিআইডি। ছবি: নিউজবাংলা
কী ঘটেছিল সেদিন
যেদিন শেফালীর মরদেহ উদ্ধার করা হয় সেদিন তার স্বামী পিডিবির অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আনন্দ কুমার বিশ্বাস বলেছিলেন, ‘আমরা বাসার দোতলায় থাকি। আমার স্ত্রী শেফালী সেখানেই ছিল। চারতলায় নির্মাণকাজ চলছে। আমি মিস্ত্রিদের সঙ্গে সেখানেই ছিলাম।
‘মিস্ত্রিদের হাঁকডাকে বাসায় নেমে দেখি আমার স্ত্রী পড়ে আছে। তার শাড়ি পোড়া। আছে আঘাতের চিহ্ন। ঘরে রক্ত ও ছাই পড়ে আছে। তাড়াতাড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।’
আনন্দ কুমার বলেন, ‘আমার মনে হয় ডাকাতি করতে এসে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। নিহতের গলায় ও চোখের ওপর জখম আছে।’
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে নারীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য
ঘটনাস্থলের পাশে সিআইডির কুষ্টিয়া অফিস। তারা বাড়িতে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন।
মরদেহ উদ্ধারের দিন সিআইডির পরিদর্শক স্বপন কুমার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঝিনাইদহ থেকে সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। তা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।’
কী বলছে পুলিশ
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি বলেন, ‘আলোচিত এই ঘটনায় মামলা করতে চায়নি তার পরিবার। পুলিশের চাপেই অজ্ঞাত আসামিদের নামে হত্যা মামলা করেছেন স্বামী আনন্দ কুমার বিশ্বাস। পুলিশ তদন্ত করছে। অপেক্ষা করছি, সিআইডির আলামত পরীক্ষার রিপোর্টের।’
ছাব্বিরুল আলম বলেন, ‘রিপোর্ট পেলেই বোঝা যাবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল শেফালীর। তার পরই সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া যাবে।’
তিনি বলেন, কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখা হয়নি। এমনকি নিহতের স্বামীকেও কুষ্টিয়াতেই থাকতে বলা হয়েছে।’