দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এক যুবককে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
ছয়ঘট্টি বেলওয়া গ্রামের সুমন মিয়া নামের ওই যুবকের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম শনিবার রাতে তিনজনের নামে ঘোড়াঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
ওই তিনজন হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার ভাতছালা গ্রামের শাহারুল ইসলাম ও মো. মোস্তাফিজুর এবং তাঁতিপাড়া-বেলওয়া গ্রামের ফারাজ আলী।
সাইফুল নিউজবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুমন জমিতে মাছ ধরার জন্য ফাঁদ পেতে আসেন। শুক্রবার ভোরে যান মাছ আনতে। সে সময় শাহারুল, মোস্তাফিজুর ও ফারাজ সুমনের বিরুদ্ধে তাদের জমিতে পেতে রাখা ফাঁদ থেকে মাছ চুরির অভিযোগ তোলেন।
এরপর ২৫ বছর বয়সী সুমনকে ধরে নিয়ে গিয়ে শাহারুলের বাড়ির সামনের গাছে বেঁধে নির্যাতন করেন।
সাইফুল বলেন, ‘আমি বিষয়টা জানতে পেরে স্থানীয়দের নিয়ে সুমনকে ছাড়িয়ে আনি। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আমার ভাইটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। ছোটবেলায় প্যারালাইসিস হওয়ায় বাম পায়ে শক্তি পায় না।
‘আমরা খুবই গরিব। দিন এনে দিন খাই। আমার ভাইকে মেরে ফেলার জন্য নির্যাতন করা হয়েছে।’
এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, সুমনকে গাছে বেঁধে লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য ওই তিনজনের বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরা তাদের মোবাইল নম্বর দিতেও রাজি হননি।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির জানান, শনিবার রাতে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পালশা ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) দুলু মিয়াকে অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে আটক করা হয়নি।