যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য উত্তম সরকার ও মণিরামপুরে প্রকাশ মল্লিক খুনের ঘটনায় তিন চরমপন্থীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
শুক্রবার মাদারীপুর সদর থানার পুরাতন বাজার থেকে প্রথমে কিরণ নামে একজনকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তার আরও দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- পটুয়াখালী জেলার পুরান বাজারের মৃত নারায়ন চন্দ্র সাহার ছেলে বাসুদেব সাহা কিরণ, যশোরের অভয়নগরের রামসরা গ্রামের নিখিল মণ্ডলের ছেলে দিপংকর মণ্ডল ও পঞ্চরাম মণ্ডলের ছেলে কৃষ্ণপদ মণ্ডল।
শনিবার যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবি ওসি রুপন কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর মণিরামপুরের মনোহরপুরে মাছের ঘেরের মধ্যে প্রকাশ মল্লিক নামে এক চরমপন্থীকে খুন করা হয়। পরে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি অভয়নগরের সুন্দলীর হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য উত্তম সরকারকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে।
এই দুটি খুনের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়। মামলা দুটির তদন্ত করতে গিয়ে এর আগে চরমপন্থী সংগঠনের সক্রিয় ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। উদ্ধার করা হয় অবৈধ অস্ত্র। পরে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে আরও ৪টি মামলা হয়।
রুপন কুমার সরকার বলেন, ‘তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আসামিরা কথিত নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির পরিচয় দিয়ে অভয়নগর ও মণিরামপুর এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও সম্পদশালীদের ফোন করে চাঁদা চায়। পরে চাঁদা না পেয়ে হত্যা করে ত্রাস সৃষ্টি করে। এসব কারণে উত্তম সরকার ও দলীয় সদস্য প্রকাশ মল্লিককে হত্যা করা হয়। কথিত চরমপন্থী সংগঠনের নেতা কিরণ ওরফে বাদল ওরফে কিশোর ওরফে মাহমুদুর রহমান বা তপন রায় নামে ছদ্মবেশ ধরে থাকেন।’
যশোর ডিবির এসআই শামীম হোসেন জানান, তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক ছদ্মনামদারী কিরণকে গ্রেপ্তারের জন্য গত ১৯ এপ্রিল ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সবশেষ মাদারীপুর সদর থানা এলাকা থেকে গত ২২ এপ্রিল কিরণকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে দুটি হত্যার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।