২০১৩ সালে সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর থেকে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে ছিল পুরো জায়গাটি। সামনে ডোবা হয়ে তা ভরে গেছে কচুরিপানায়। অনেকে সামনে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে দোকানপাট।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৯ বছর পূর্তি কাল রোববার। এর আগে জায়গাটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা হয়েছে এলাকাটি। এই উদ্যোগে খুশি শ্রমিকরা।
রানা প্লাজা ধসে আহত শ্রমিক ইমাদুল ইসলাম এমদাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রভাবশালীরা এই জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে দোকানপাট বসিয়ে চাঁদা তুলছিল। এখানে লোকজন প্রস্রাব করে। আমরা এখানে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির বর্ষপূর্তির দিনও ঠিকভাবে পালন করতে পারতাম না। এর মতো দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।
‘তবে এবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই দোকানপাট উচ্ছেদ করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছে। এ জন্য ইউএনও মহোদয়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের পর প্রথমে জায়গাটা টিন দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছিল। সেটা ভেঙে দোকানপাট তোলা হয়। আমরা প্রতি বছর বর্ষপূর্তির আগে পুলিশের মাধ্যমে জায়গাটা পরিষ্কারের উদ্যোগ নেই।
‘এবার দেখি উপজেলা প্রশাসনই দোকানগুলো উচ্ছেদ করেছে। তারপর কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দিয়েছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কিছু দখলদার ছোট ছোট টং দোকান তুলে জায়গাটা দখলের চেষ্টা করেছিল। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে, এ জায়গা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকে সংরক্ষণের দায়িত্ব দেয়া আছে। তবে তা না করায় জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছিল।
‘এই জায়গায় রাস্তার সঙ্গে সড়ক ও জনপথ বিভাগ একটা ড্রেন করে। তারা ড্রেনের কাজ শেষ করার পরই আমি জায়গা সংরক্ষণের উদ্যোগ নেই। কয়েকদিন আগে দোকানগুলো উচ্ছেদ করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দিয়েছি। আমরা জায়গাটা পার্মানেন্টলি (স্থায়ীভাবে) সংরক্ষণ করব। কিছু বাজেট পেলে বাউন্ডারি করে দেব।’