সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং বা সোলার রেডিয়েশন ম্যানেজমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্বের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দুর্বল দেশগুলোর মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ফলে নতুন করে শত কোটি মানুষ ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) ও যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
চলতি মাসের ২০ এপ্রিল নেচার কমিউনিকেশন জার্নালে ‘সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং কুড রিডিস্ট্রিবিউট ম্যালেরিয়া রিস্ক এন ডেভেলপিং কান্ট্রিজ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জার্মাানির আট গবেষক গবেষণাটি করেছেন। তারা বলছেন, ভেক্টর বাহিত রোগের ওপর জিওইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কৌশলগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে এটি প্রথম গবেষণা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জিওইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে গ্রীষ্মমণ্ডলকে শীতল করা পর্যন্ত কিছু জায়গায় ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এ ঝুঁকি ভবিষ্যতের পাশাপাশি বর্তমানের জন্যও উদ্বেগজনক। এতে মানুষ এবং বাস্তুতন্ত্রও ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
তাই সোলার জিওইঞ্জিনিয়ারিং উন্নত বিশ্বের মানুষের সুরক্ষার বিষয় হলেও তাতে অন্যান্য দেশের জন্য ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা থাকা উচিত।
বিশেষ করে মশাবাহিত আপাত অবেহেলিত রোগের বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া উচিত। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতির দিক রোধে জিওইঞ্জিনিয়ারিং একপাক্ষিক সমাধান। তবে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাবকে গুরুত্বের মধ্যে আনতে হবে।
গবেষণাটি বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবগুলো হ্রাস করার লক্ষ্যে অনুমানমূলক একটি পদক্ষেপ জরুরি। সূর্যালোক প্রতিফলিত করে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে অ্যারোসল ইনজেকশনের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা সাময়িকভাবে থামিয়ে দেয়া যেতে পারে। তবে বিষয়টি স্বাস্থ্যের জন্য নেতিবাচক প্রভাবের কারণ হবে। জলবায়ু জিওইঞ্জিনিয়ারিং ম্যালেরিয়াসহ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচত প্রভাব ফেলবে।
প্রধান গবেষক কোলিন কার্লসন জানান, মানুষের জন্য একটি গ্রহে গরম থাকলে তা ম্যালেরিয়ার প্যারাসাইটের জন্যও গরম হয়ে যায়। গ্রহকে শীতল করে জীবন বাঁচানো তাই বিকল্প বিষয় হতে পারে। তবে তাতে নেতিবাচক প্রভাবেরও শঙ্কা রয়েছে।