লক্ষ্মীপুর শহরে গ্রেপ্তারের তিন ঘণ্টা পর এক আসামির মৃত্যু হয়েছে।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চেক জালিয়াতির মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আবদুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আবদুল কুদ্দুস স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক। এর আগে থানা হাজতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজন ও পুলিশ। আবদুল কুদ্দুসের বাড়ি সদর উপজেলার রাধাপুর এলাকায়। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা রোডের পাশে সপরিবারে বসবাস করতেন। সেখানে তার একটি ফার্মেসি ছিল। এ ছাড়া আরেকটি ওষুধ কোম্পানিতেও তিনি চাকরি করতেন।
বৃহস্পতিবার সকালে নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
স্থানীয়রা জানান, আবদুল কুদ্দুস ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ শেষে ফার্মেসিতে বসেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, ঢাকার ওয়ারী থানায় আবদুল কুদ্দুসের নামে একটি চেক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হয়। ওই মামলায় সদর থানা পুলিশ তাকে ফার্মেসি থেকে গ্রেপ্তার করে। খবর পেয়ে তার স্ত্রী নিগার সুলতানা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আল আমিনকে নিয়ে থানায় যান। সেখানে আবদুল কুদ্দুস অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্ত্রী ও কাউন্সিলরসহ পুলিশ তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আল আমিন বলেন, ‘সদর থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে আবদুল কুদ্দুসকে তার স্ত্রী, পুলিশসহ আমি হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভর্তির কয়েক ঘণ্টা পর তিনি সেখানে মারা যান।’সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আবদুল কুদ্দুস স্ট্রোক করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কোনো নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়নি।’
পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, ‘চেক জালিয়াতির মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়া হয়। ঘণ্টা খানেক পর তার স্ত্রী ও স্থানীয় কাউন্সিলরের সামনেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের উপস্থিতিতে আবদুল কুদ্দুসকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’