বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রশিক্ষণের নামে টাকা আত্মসাৎ, অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক

  •    
  • ২০ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৫৫

সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহা বলেন, ‘দুপুরে বিষয়টি জানতে পেরে ওই স্কুলে যাই। বালিকা বিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়টি একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তা অগ্রাহ্য করেছেন প্রধান শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

চুয়াডাঙ্গায় কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রশিক্ষণার্থীরা ওই শিক্ষককে নিজ স্কুলে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার আলুকদিয়া রোমেলা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

আলুকদিয়া এলাকার আহসান সাকিব, শিহাব উদ্দিন, ফারহান হোসেন, শোভন আলী, অভি ইসলামসহ বেশ কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী জানান- তারা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি কম্পিউটার ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেয়ার নামে ১ হাজার টাকা করে জমা নেন আলুকদিয়ার রোমেলা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান।

এভাবে আরও অন্তত ৩০ জনের কাছ থেকে ওই প্রধান শিক্ষক টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন প্রশিক্ষণার্থীরা। প্রশিক্ষণে একটি ব্যাগ ও খাবার দেয়ার কথা ছিল। প্রশিক্ষণ শেষে ৫ হাজার টাকা করে দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছিলেন আক্তারুজ্জামান।

বিক্ষুব্ধরা আরও জানান, বুধবার প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এটি শুরু না করায় প্রধান শিক্ষকের কাছে তারা কারণ জানতে চান। পরে ওই শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ সময় টাকা ফেরত চাইলে প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণও করেন তিনি। পরে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি বেসরকারি সংস্থা ওই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। স্কুলে ভেন্যু ভাড়া হিসেবে আমাকে ১০ হাজার টাকা দেয়ার কথা ছিল। আমি তাদের কাছে কোনো টাকা নিইনি।’

আলুকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করেছি। ওই শিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু সম্ভব হয়নি।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, শিক্ষককে অবরুদ্ধ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করা হয়।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ কুমার সাহা বলেন, ‘দুপুরে বিষয়টি জানতে পেরে ওই স্কুলে যাই। বালিকা বিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়টি একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তা অগ্রাহ্য করেছেন প্রধান শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর