জার্মানি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে আসা বক্তব্যে অসন্তোষ জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার।
দলটির পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য দেয়ার এক মাস পর তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি নেতাদের উদ্ধৃতি বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন জার্মান রাষ্ট্রদূত ট্র্যোস্টার। এ সময় তিনি এমন প্রতিক্রিয়া জানান।
গত ১৭ মার্চ গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক হয় বিএনপির। দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিন নেতা এতে অংশ নেন।
বিএনপি নেতারা গণমাধ্যমকে জানান, দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জার্মানি।
এর এক মাস পর জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এটাতে আমি কিছুটা অসন্তুষ্ট হয়েছি। আমার কর্তৃত্বের মধ্যে যা আছে, সে সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে বলি আমি। এই উদ্ধৃতি নিয়ে আমি অসন্তুষ্ট ছিলাম।
‘আমি যে উদ্ধৃতি পড়েছি, তা বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। যেখানে বলা হয়েছে, আমি দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি ও গণতন্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এমন শব্দচয়ন সত্য নয়।’
১৭ মার্চের বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পরিস্থিতি বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সবাই অবগত আছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। এগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনাও হচ্ছে। এসব ব্যাপারে ওনারা কনসার্ন। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনা হচ্ছে ওনারা (জার্মানি) তো তার একটি অংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা, ব্রিটেন- সবাই এসব বিষয়ে বলছে।’
এ বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে জার্মান রাষ্ট্রদূত জানান, ‘নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর শিষ্টাচারের অংশ হিসেবেই ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই দেশে কী হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অবশ্যই মানবাধিকার ইস্যুও তার মধ্যে এসেছে।
‘আমরা সরকারের সঙ্গেও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে আছি। কারণ, বৈশ্বিক মানবাধিকারের বিষয়টি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির দর্শনের মধ্যেই আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তারা ব্যাখ্যা করেছেন-- কেন তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকছে, কেন অতীতে নির্বাচনে অংশ নেননি এবং কেন তাদের মনোভাবের পরিবর্তন করেনি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনীহার বিষয়ও ব্যাখ্যা করেছেন তারা।’