ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের বেশাইনখান শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ৫৫ বছর বয়সী শাহ আলম হাওলাদার নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেশাইনখান বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পরে রাত সাড়ে ৯টায় তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক এস কে বড়াল শাহ আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওনাকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে তার দেহে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।’
সোমবার ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে শাহ আলম হাওলাদার অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
হাসপাতালে লাশের সুরতহাল করতে আসা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সিনিয়রের অনুমতি ছাড়া আমি তথ্য বা বক্তব্য দিতে পারব না।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর মুঠোফোনে বলেন, ‘লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া কিছু বলা যাবে না।’
নিহতের ছেলে রাকিব হাওলাদার বলেন, ‘নির্বাচনে আমার বাবা সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সেই রেশ ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচনের প্রতিপক্ষরা বেশাইনখান বাজারের সামনে আমার ওপর হামলা চালায়। বাবা আমাকে ধরতে গেলে ওরা বাবাকে কিল-ঘুষি মারে।
‘মুহূর্তেই বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছে।’
নিহত শাহ আলমের ছোট ভাই নুরুজ্জামান বলেন, ‘ভাইয়ের ছেলেকে যখন প্রতিপক্ষরা মারধর করছিল তখন আমার ভাই থামাতে গিয়েছিল। অজ্ঞান হয়ে পড়ার পর ভাইকে হাসপাতালে আনতে আনতে ভাই মৃত্যুবরণ করেন।
‘পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্তের পর আমরা আমার ভাই হত্যার বিচার দাবিতে আইনের আশ্রয় নেব।’
শাহ আলমের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।