বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিচারকের নামে স্ত্রীর নির্যাতন মামলার আবেদন

  •    
  • ১৯ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৩৫

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) জাহাঙ্গীর আলম তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ঠিক করেছে আদালত।

রংপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত-২-এর বিচারক শ্রী দেবাংশু কুমারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলার আবেদন করেছেন তার স্ত্রী।

রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২-এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামানের আদালতে মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে আবেদনটি করেন হৃদিতা সরকার।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) জাহাঙ্গীর আলম তুহিন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার মামলার বিষয়ে শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

আদালতে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ মে চিকিৎসক হৃদিতা সরকারের সঙ্গে বিচারক দেবাংশু কুমার সরকারের বিয়ে হয়। বিয়ের আসরেই ৩০ লাখ টাকা যৌতুক চায় দেবাংশুর পরিবার। এতে সেদিন বিয়ে ভাঙার পরিস্থিতি তৈরি হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিয়ে সম্পন্ন হয়।

কিছুদিন পর গাড়ি কেনার জন্য হৃদিকার কাছে ৩০ লাখ টাকা চায় দেবাংশু ও তার পরিবার। এরই মধ্যে ঠকুরগাঁও আদালত থেকে বদলি হয়ে নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর চৌকি আদালতে সহকারী জজ হিসেবে যোগ দেন দেবাংশু। হৃদিতা সেখানে যতবারই যেতেন, তাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করা হতো।

দেবাংশু ২০১৭ সালের সেপ্টেস্বরে রংপুর জজশীপে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি হন। সেখানে এসে মাদকে জড়িয়ে পড়েন তিনি। টাকার জন্য হৃদিতা ওপর বাড়তে থাকে চাপ। রংপুর জুডিশিয়াল স্টাফ কোর্টারের নিচ তলায় ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট সকালে তাকে নির্যাতন করেন দেবাংশু। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক তিন বিচারককে জানান হৃদিকা।

এরপর থেকে হৃদিতা তার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে থাকতে শুরু করেন। এরই মধ্যে একদিন জানতে পান দেবাংশু দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। বিষয়টি আইন মন্ত্রাণালয়ে লিখিতভাবে জানান হৃদিতা।

গত ২৮ মার্চ বিকেলে রংপুর জজ আদালত প্রাঙ্গণে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান হৃদিকা, সঙ্গে ছিল তার পরিবারের লোকজন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আদালতের পূর্ব দিকের প্রধান ফটকের সামনে দেবাংশুর সঙ্গে দেখা হয় তাদের। এ সময় ৩০ লাখ টাকা এনেছে কী না জানতে চান দেবাংশু।

টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কয়েকজনকে নিয়ে সেখানেই হৃদিকাকে মারধর করেন দেবাংশু। এতে আহত হৃদিতার বাম হাতে ৫টি সেলাই লাগে। কানের আঘাতে ২১ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি। কোতয়ালী থানায় ১৭ এপ্রিল মামলা করতে গেলে, পুলিশ তা নিতে চায়নি।

সরকারপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম তুহিন বলেন, ‘আদালতে মামলার আবেদন হয়েছে। শুনানি বৃহস্পতিবার।’বাদীপক্ষের আইনজীবি রফিক হাসনাইন বলেন, ‘আদালতের কিছু বিষয় জানার আছে। আমরা বলেছি, ফৌজদারী কার্যবিধিতে মামলা নিতে কোনো অসুবিধা নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর