ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রমিক মোজাম্মেল হক হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে প্রত্যেক আসামিকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক গাজী দেলোয়ার হোসেন মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন রানীশংকৈলের বলাঞ্চা গ্রামের নজরুল ইসলাম, একই গ্রামের ইউনুস আলী ও সেকেন্দার আলী, উপজেলার চন্দন চৌহাট গ্রামের আব্দুল জলিল এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর বালিয়া গ্রামের কফিল উদ্দীন। তাদের মধ্যে সেকেন্দার ও ইউসুফ পলাতক।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ।
এজাহারের বরাতে তিনি বলেন, ২০১০ সালে ভুট্টাক্ষেতে একটি মাথাবিহীন মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বালিয়াডাঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তভার দেয়া হয় একই থানার আরেক এসআই আতিকুল ইসলামকে। তিনি সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেন। ওই ব্যক্তির দেয়া তথ্যে একটি ইটভাটা থেকে মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়।পুলিশের তদন্তের পর সিআইডি থেকেও এ মামলার তদন্ত হয়। পরে ৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে। তদন্তকালে আসামি ইউনুস আলী, আব্দুল জলিল ও কফিল উদ্দীন ১৬৪ ধারায় মোজাম্মেলকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ বলেন, মোজাম্মেল বালিয়াডাঙ্গীর একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসবে কাজ করতেন। সেখানে শ্রমিকদের একজন স্বপ্ন দেখেন ইটভাটায় মাথা পোড়ালে ইটের রঙ লাল হবে। এ কথা ওই শ্রমিক মালিককে জানান।
কদিন পরে এক রাতে সব শ্রমিক সিনেমা দেখতে যায়৷ ফেরার পথে গভীর রাতে পরিকল্পিতভাবে মোজাম্মেলকে জবাই করে আসামিরা৷ পরে সে মাথা ইটভাটাতে পোড়ায় তারা।
তিনি জানান, মোজাম্মেলকে খুন করতে ভাটা মালিকের সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি হয়। অগ্রিম ৪০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে হত্যা করে সাজা পাওয়া আসামিরা।
হত্যা মামলায় মোট ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয় বলে জানান এই আইনজীবী।